ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দিন


শিশুদের বর্ণমালার বইগুলোতে বর্ণ গুলোর খাদ্যের প্রাথমিক জ্ঞান সম্পর্কিত বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা জরুরি। সাধারনত আমাদের মানুষগুলোর প্রাথমিক জ্ঞান থাকে না৷ যেমন : সুষম খাদ্য, ভিটামিন, খাদ্য উপাদান প্রভৃতি সর্ম্পকে জানাটা অবশ্যক। ফলে মানুষ নিজের পুষ্টি নিজে নিশ্চিত করতে পারে।এবং খাবারের তালিকা তৈরির সময় সম্যক জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে।
যেমন বর্নমালার বই গুলোতে এভাবেই লিখতে পারি। আ : আ তে আপেল, আপেল খেলে হবে বল।
মাঝে মাঝে খাদ্য মডেল দিয়ে খাদ্য গেইম বানানো, শিশুদের পছন্দের খাবার ডেমু দিয়ে খাদ্য পিরামিড ,সুডকো মিলানো, খেলনা সামগ্রীর আকার বিভিন্ন খাবারের মত করা, স্কুল আঙ্গিনায় সবজি বাগান করা, তারপর ইস্কুলের সকালের এসেম্বলীতে কে কি দিয়ে ভাত / নাস্তা খেয়েছে তা নিয়ে শিশুদের প্রাথমিক খাদ্য জ্ঞান যাচাই করা। তারপর তাকে শিখানো কি ঘাটতি আছে খাদ্য উপাদানে। দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে খাবারের তালিকা করা স্থানীয় ভাবে সহজলভ্য খাবার দিয়ে। খাবার খাওয়ার আগে পরে হাত ধোঁয়া ।
আমাদের মায়েরা শিশুদের খাওয়ানোর সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন,টিভি, কার্টুন প্রভৃতি চালিয়ে বিনোদন দেয়।এতে শিশুদের খাবারের প্রতি একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। খাদ্য ক্যালেন্ডার বা আর্ট কম্পিটিশন করা, ফুড ফেয়ার ভিজিট করা। বাবা মায়ের উচিৎ তাদের ছেলে মেয়েদেরকে খাবারের কাউন্সিলিং করা। তাকে বুঝতে দেয়া উচিৎ সে কি খাচ্ছে। তাহলে পাচকক্রিয়া দ্রুত হয়।
সাপ্লিমেন্টারী ফুড,ফর্টিফাইট ফুড, বাজারজাত ফুড এগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা,নিরুৎসাহিত করা,। বাবা মায়ের খাবার তৈরী প্রক্রিয়া সমন্ধে সচেতন করা। অভিভাবক সমাবেশে এসব নিয়ে আলাপন করা।
আমাদের শিশুগুলো ভাল থাকুক, নিরাপদ খাবার সুস্থ সবল জাতি গঠনে অনেকাংশে ভাল করবেই, এক্ষেত্রে স্কুল হেলথ কার্যক্রম পুষ্টি বিষয়ক শিখন পদ্ধতি কার্যকরী পদক্ষেপ।

 


ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দিন , এমপিএইচ ইন নিউট্রিশন ( ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া) ,নার্সিং কর্মকর্তা ,কক্সবাজার সদর হাসপাতাল।