মো.শাহাদাত হোছাইন:

কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে যাত্রীবাহী ওয়াটার হেলিক্যাপ। যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। এ উদ্দেশ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি স্বরূপ বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করেন এই ওয়াটার হেলিক্যাপ।

সোমবার (৬ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কিনা টেস্ট করান হেলিক্যাপ এর মালিক শাহাবুদ্দিন(৪৫)। তিনি কুতুবদিয়ার উত্তর কৈয়ারবিলস্থ ২ নম্বর ওয়ার্ডের বদিউল আলমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বছর জুড়ে ওয়াটার হেলিক্যাপটি তৈরির কাজ চলছে। হেলিক্যাপটি নিয়ে কুতুবদিয়া বাসীর কৌতুহলের যেন শেষ নেই। এটি যখন প্রথমবারের মতো আজ সাগরে নামানো হয়, কুতুবদিয়া সৈকতজুড়ে মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মতো। এটিতে চড়ে কুতুবদিয়ার মানুষ চট্টগ্রাম যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

হেলিক্যাপটির মালিক ও পাইলট শাহাবুদ্দিন জানান, এক যুগের অধিক সময় সৌদি আরব কাটান। সেখানে ওয়ার্কশপে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিয়েছি এবং স্বপ্ন দেখেছি দেশে ফিরে যাত্রীবাহী ওয়াটার হেলিকপ্টার তৈরি করে দেশের জনগনের সেবায় এগিয়ে আসব। এ উদ্দেশ্যে দেশে ফিরে ওয়াটার হেলিক্যাপ তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছি। এটি তৈরি করতে বছর খানেক সময় লেগে যায়। এ যাবৎ এটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। এতে আরো ৬ লাখ টাকা মত খরচ হতে পারে। এটিতে পাইলট এবং তার সহকারী ছাড়াও ৮ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি করা হলো আকাশে উড়বে না বরং পানিতে ভেসে দ্রুত গতিতে এটি চলবে।

তিনি আরো জানান, হেলিক্যাপ জলযানটির এখনো নামকরণ করা হয়নি। তবে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামে যাত্রী আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। আবহাওয়ার ঠিক থাকলে ৪০/৪৫ মিনিটের মধ্যে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো যাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ঈদুল আজহার পর এটি নিয়মিত বঙ্গোপসাগর রুটে চলাচল করবে। ওয়াটার হেলিক্যাপটি সফলভাবে যাত্রা করতে আশা পুরণের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

কুতুবদিয়াউপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসকে লিটন কুতুবী জানান, দ্বীপবাসীর জন্য এটি একটি গর্বের বিষয়। সে আমাদের গর্বের ধন। তার মাথায় যে এমন একটি প্ল্যান এসেছে, তার এ অসাধারণ শৈল্পিক প্রতিভা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তাকে আমাদের সংবর্ধিত করার দরকার আছে। তার মেধাকে স্যালুট জানাই। তার চেষ্টা সফল হোক, এটাই কামনা করছি।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব বলেন, মানুষের মুখ থেকে শুনে এটি দেখতে যাই। সেখানে হেলিক্যাপের মালিকের সাথে কথা বলেছি, সব স্বপ্ন বলে মনে হলো। আমিও আশা করছি কুতুবদিয়ার মানুষ ১ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছবে, প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবারো কুতুবদিয়ায় পৌঁছতে পারবো। মানুষের সময় সাশ্রয় হবে। ব্যয় বেশি হলেও মানুষ দ্রুত সেবা পেতে চায়। তার ওয়াটার হেলিক্যাপ তৈরীর স্বপ্ন সফল হোক।