এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকা ভাদীতলা, দরগাহপাড়া, শিয়াপাড়া ও হাসিনাপাড়া। যেখানে বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশী মানুষের বসবাস। রয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেতখামার।
প্রায় ৭ বছর আগে এই সড়কের ব্রিজটি ভেঙে যায়। স্থানীয়রা কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরী করে অস্থায়ী সাকো। সেই অস্থায় সাকোই যেন অনেকটা স্থায়ী হয়ে গেছে। ভেঙে পড়া ব্রিজটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
এত বিপুল সংখ্যক কৃষিনির্ভর জনগণের চলাচলের মাধ্যম একটি কাঠের সাকো। কষ্ট-দুর্ভোগ কাকে বলে তা বাস্তব সাক্ষি স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানিতে ভেঙ্গে যায় সাকোটি। এলাকাবাসীর উদ্দোগে প্রতি বছর সংস্কার করা হলেও তা টিকে না। ভেঙে বিলীন হয়ে যায় পানিতে। তবু ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পথচলা থেমে নেই।
৪ই জুলাই বিকেলে দেখা গেল, ঢলের পানির সাথে ভেসে যাওয়া সাকোটি আবার নির্মাণ করা হয়েছে। চলাচল করছে ছোটখাটো যানবাহন।
পথাচরী মোজাম্মেল হক জানান, স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ এতদিনেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় কাঠের সাকো দিয়ে পারাপার কষ্ট তাদের। রোগি নিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ব্যবসায়ী রাশেদ কামাল রাশেদ জানান, ছয় বছরেই ৬টি বার কাঠের সাঁকো নির্মান করা হয়। ব্রীজ নির্মানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোরদাবী। অনুমোদনের কথা বারবার শুনা গেলেও এখনো বাস্ত বায়ন না হওয়ায় হতাশ।
মুদির দোকান ব্যবসায়ী বশর জানান, স্থায়ীভাবে ব্রীজ নির্মান করে জন ও যানচলাচল স্বাভাবিকসহ নানান ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হউক।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল হাকিম নুকি জানান, মানুষের অরেক কষ্ট হচ্ছে। কিছুদিনের ব্রিজের মধ্যে টেন্ডার হবে। তারপরেই ব্রীজের কাজ শুরু হবে। এ পর্যন্ত ৬ বার কাঠের সাকো নির্মান করে কোন রকম যাতায়াত করছে এলাকাবাসী।।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানান, একনেকে অনুমোদন হওয়ার পর চলে যাবে টেন্ডারে, টেন্ডারের পর টিকাদার ওয়ার্ক অর্ডার পেলে কাজ শুরু হবে।
তবে বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই কাজ শুরু হবে, এমনই আশাবাদী তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।