ফারুক আহমদ, উখিয়া :
বৈশ্বিক কোভিড নাইনটিন করোনা ভাইরাস জনিত কারণে উখিয়ায় বোরো ধান সংগ্রহ কর্মসূচি ২০২০ বাস্তবায়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। করোনা ভাইরাসঝুঁকি মোকাবেলায় প্রশাসন কতৃক লকডাউন ও রেড জোন ঘোষণা এবং পরিবহন সংকটের কারণে উৎপাদিত ধান সরকারি খাদ্যগুদামে আনতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
এদিকে প্রথমত করোনা ভাইরাস ঝুঁকি মোকাবেলা ও বর্তমানে কৃষকরা খোলা বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবারে সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এমনটি বলেছেন উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক সুজিত বিহারী সেন।
উখিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে চাষাবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর। যার ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩ শত ৮৩ মেট্রিক টন ধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফলনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধান সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করেন। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় উখিয়ায় গত ৩১ মে থেকে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।
উপজেলা খাদ্য অফিস জানিয়েছেন, উখিয়ায় ১ হাজার ২০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে ধান সমূহ ক্রয় করবে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, করোনা জনিত কারনে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান খুবই হতাশাজনক। এ পর্যন্ত মাত্র ২ শত টন উৎপাদিত ধান কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
সচেতন কৃষকরা জানান প্রচার-প্রচারণা অভাব ও খাদ্য গুদামে নানা বিড়ম্বনার কারণে অনেকে ধান বিক্রি করতে চায় না।
সচেতন নাগরিক সমাজের মতে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের ধরন দেখে মনে হয় এবারে বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কতৃপক্ষ ব্যর্থ হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শক সুজিত বিহারী সেন বলেন, মূলত করোনা ভাইরাসজনিত কারণে এলাকায় লক ডাউন ও রেড জোন ঘোষণা করায় চাষীরা ঝুঁকি নিয়ে ধান বিক্রি করতে খাদ্য গুদামে আসেনি। বিশেষ করে পরিবহন সংকট সহ বর্ষাকালীন যাতায়াত সমস্যা ইত্যাদি বিবেচনা করে কৃষকদের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারে খোলাবাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে রাজি হয়নি। মূলত এসব কারণে এবারে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশাংকা দেখা দিয়েছে