নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়াঃ
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জিয়াউল হক মীর জানিয়েছন, কুতুবদিয়া হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুতকৃত আইসোলেশান সেন্টারের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন এনজিও ও স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি এনজিও কুতুবদিয়া হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট স্থাপন, হাসপাতালের জন্য প্যাডেল বিন, কালার কোডেড বিন, আইসোলেশান সেন্টারের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, সোলার প্যানেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিবেন। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করার কথা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, সিনিয়র সচিব মো: হেলালুদ্দীন আহমেদ, কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিন জানান, এতোদিন পর্যন্ত শ্বাসকষ্টের রোগীদের শুধুমাত্র পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের অভাবে নিকটবর্তী উপজেলা চকরিয়া এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার শহরে রেফার করা লাগতো। এই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে OC Kutubdia এর উদ্যোগে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কোস্ট ট্রাস্ট এবং RMO -UHC, Dr. Morshad এর সহযোগিতায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রেজাউল হাসান জানান,করোনার এই দুঃসময়ে অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব গোছাতে- কোস্ট ট্রাস্ট,ডা মোরশেদ আলী স্যার (এফসিপিএস,সার্জারী) ও কুতুবদিয়া হাসপাতালের সমন্বিত উদ্যোগে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

এ যেন গভীর রাতের শেষে প্রভাতের এক ঝলক আলোক।

তিনি জানান, হাসপাতালে আর একটা এক্সরে মেশিনেরও বেশি দরকার এই করোনা চিকিৎসায়।আশা করি হয়ত অন্য কোন দানবীরের বদান্যতায় একদিন এই অভাবটাও গুছে যাবে।