সমকাল : দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার দাবি করেছে স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। এরই মধ্যে প্রাণীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফলতা পাওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

বুধবার প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে করোনার ভ্যাকসিনে সফল হয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ পর্যায়ে এটা সফল হয়েছে। এখন আশা করা হচ্ছে মানবদেহেও সফলভাবে কাজ করবে এই ভ্যাকসিন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাব। এরপর আমরা সরকারি দপ্তরের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, বলেন, এখন এই টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিরীক্ষার লক্ষ্যে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে কাজ করে যাচ্ছি। এই পরীক্ষায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে গ্লোবাল বায়োটেক লিমিটেড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনসিবিআই (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী গত ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের(কভিড-১৯) ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। ওই সিকোয়েন্সগুলো বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার (ভ্যাকসিন) টার্গেট নিশ্চিত করে। ওই টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজে জমাও দেওয়া হয়। যা ইতোমধ্যেই এনসিবিআই কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে।

কভিড-১৯ মহামারীর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ কয়েকটি দেশের অনেকগুলো ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তবে কোনোটিই এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি পায়নি।