সিবিএন ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যখাতে হওয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাঁচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিককে তলব করেছে সংস্থাটি।

করোনা প্রতিরোধের নামে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তলব করেছে দুদক।

যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মো. মতিউর রহমান, এলান কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।

দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত জরুরি এই তলবি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে আগামী ৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।’

এছাড়া মো. হুমায়ন কবির ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করবে দুদক।