এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

করোনা সংক্রমনের ঝুঁিক থেকে জনসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের ঘোষিত রেডজোন এলাকা থেকে টানা ২১দিন পর সোমবার ২৯ জুন থেকে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন কার্যক্রম। তবে লকডাউন শিথিল হলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রেডজোন এলাকায় প্রতিদিন ৬ঘন্টা চলবে সবধরণের ব্যবসা বাণিজ্য এবং খুলবে দোকানপাট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে প্রতিদিন সকাল দশটায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হবে বেচাকেনা। বিকাল চারটার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে গুনতে হবে জরিমানা।

রোববার ২৮ জুন দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে মোহনা মিলনায়তনে রেডজোন এরিয়ায় লকডাউন কার্যক্রম স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ইউএনও লকডাউন শিথিল করার বিষয়টি জানান।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবার প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে গত ৭ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত দুইদফায় ২১ দিন চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ সময় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার এবং বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহনে পুরো রেডজোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর তরান্বিত হয়।

এদিকে ২৯ জুন সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করে সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে দোকানপাট খোলা ও ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে বলে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।

তিনি বলেন, দোকানপাট খোলা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে। তাই অনিশ্চিত ঝুঁিক এড়াতে হলে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিজ এবং পরিবার সদস্য ও প্রতিবেশি সবার সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯জন। এতে সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন, হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৪জন, সরকারী হিসেবে ৬ জনের মৃত্যু হলেও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৪জন।