Translated by Muhammad Max

 

জিওন, কিমকে (মেয়ে) ঘুম থেকে জেগে তুলল, আর যে পথ দিয়ে পরিকল্পনা করছে, তা দিয়ে রওনা দিল। সাথে নিল দুটি ব্যাগ, খাবার, কাপড়, একটি ছোরা, আর বিষ।

সে কোন সুযোগ হারাতে চাইনি, সাথে নিল একটি পিস্তল, কিম তাকে পিস্তল না নিতে বলল, কিন্তু জিওন তা শুনেনি।

কারন আটকে গেলে আর ছাড় নেই, লোক দেখানো উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যাবস্থায় তার নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড হবে, যেহেতু একজন রক্ষী বন্দী নিয়ে পালাচ্ছে, সেখানে আর কথায় নেই।

২৬ বছরের জিওন বলে, ‘ আমি জানি আমার শুধু আজ রাতেই সুযোগ আছে, আজ না পারলে আমি ধরা খাব আর নিশ্চিত মৃত্যু’ ।

‘ তারা আমাকে আটকালে আমি গুলি করব আর পালাব, পালাতে না পারলে নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলব ‘।

তাও কাজ না হলে সে নিজেকে চুরি দিয়ে আঘাত করবে অথবা বিষ খেয়ে মরে যাবে৷

‘ যেহেতু আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত তাহলে আমার আর ভয়ের কিছুই নেই’।

তারা দুজনেই একসাথে জানালা দিয়ে লাফ দিল আর ডিটেনশন সেন্টার এর ব্যায়ামের মাঠের দিকে রওনা দিল।

সামনে আছে উচু কাঁটাতারের বেষ্টনী, আর কুকুরের ডাক যা তারা শুনতে পাচ্ছিল তাদের আটকে দিতে পারে।

এমনিতে যদি কেউ না ও দেখে তাদের বর্ডার গার্ডদের ফাঁকি দিতে হবে এবং টুমেন নদী পাড়ি দিতে হবে যা তাদেরকে মুক্তি থেকে আলাদা করে রেখেছে।

কিন্তু ঝুঁকি নিতেই হবে, কেননা, কিমকে যখন জেলখানায় নিয়ে আসা হয়, তারা উভয়ে জানত যে, জেলের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে কিম সেখানে মারা যাবে।

অদ্ভুত এক বন্ধুত্বের সুচনা হয়েছিল, গার্ড আর বন্দীর মাঝে।

২০১৯ সালের মে মাসে মাত্র ২ মাস আগে তাদের পরিচয় হয়েছিল।

জিওন ছিল উত্তর কোরিয়ার অনসং ডিটেনশন সেন্টার এর একজন গার্ড, সে এবং তার সহকর্মী, কিম সহ আরও অনেককে ২৪ ঘন্টা চোখে চোখে রাখত তাদের বিচার শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ।

তার পরিধানের নোংরা কাপড় আর অসহায় অবস্থায় কিমের জিওনকে চোখে পরল, জিওন জানত কিমকে আটক করা হয়েছে তার দেশের অনেককে বিদেশ পালাতে সহযোগিতা করার অপরাধে৷

কিম ছিল একজন ব্রুকার, সে যারা উত্তর কোরিয়া থেকে পালাতে চাইত পরিবার পরিবর্গ ছেড়ে, তাদের চ্যানেল হিসেবে কাজ করত।

এর মানে হচ্ছে, কিম টাকা ট্রান্সফার আর ফোনে কথা বলে দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দিত।

এটি একজন উত্তর কোরিয়ান কারও জন্যে একটি লোভনীয় কাজ৷ কিমকে ৩০% কমিশন দেওয়া হত প্রতি ১৭৯৮ ডলার ট্রান্সফারের বিপরীতে ।

অন্যদিকে , কিম আর জিওন এর কাজে অনেক তফাৎ ছিল।

যেখানে কিম অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যেত উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে সেখানে জিওন ছিল একজন মিলিশিয়ার আদর্শিক সৈনিক , যে ১০ বছর যাবত কাজ করছে।

দেশের কমিউনিস্ট স্বৈরশাসনের সাথে সে নিজেকে খাপ খেয়ে নিয়েছে।

কিন্তু তাদের দুজনের মধ্য যে একটি মিল ছিল তা তারা জানত না, তারা উভয়ই দেশের এই অবস্থা আর নিজের জীবন নিয়ে খুবই হতাশ। কিমের টার্নিং পয়েন্ট ছিল, তার জেলের সাজা, এটি তার প্রথম কারাজীবন ছিলনা, আর সে জানত যে, দ্বিতীয়বার তার শাস্তি অনেক কড়া হবে আর বের হয়ে এসে তার পক্ষে আগের পেশায় ফিরে যাওয়া টা প্রায় অসম্ভব ।

কিমকে প্রথম আটক করা হয়েছিল যখন সে উত্তর কোরিয়ার অনেককে চীনের বর্ডার ক্রস করতে সাহায্য করেছিল অর্থের বিনিময়ে, যে বর্ডার দিয়ে কিম আর জিওন পালানোর পরিকল্পনা করে।

‘ মিলিটারির সাথে লিংক না রেখে তুমি এই কাজ কখনো করতে পারবেনা ‘ কিম বলল।

সে তাদের ঘুষ দিত আর এভাবে ৬ মাস ব্যাবসা চালিয়ে যায়, অনেক আয় হয়।

প্রতি একজন মানুষকে পার করে দিয়ে সে গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার পেত।এর মানে হল, তার এই একজনের আয় একজন উত্তর কোরিয়ান মানুষের বাৎসরিক আয়ের সমান।

কিন্তু যে মিলিটারির সাথে সে কাজ করত তারা তার সাথে প্রতারণা করে। তাকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয় , বের হয়ে সে আর এই কাজ আর করবে না, নিজে নিজে প্রতিজ্ঞা করে, কারন এটি খুবই ঝুঁকিপুর্ণ ছিল।

এরপর কোন একদিন সে আর বসে থাকতে পারলনা, বাধ্য হল এই কাজে নামতে।

কিম যখন জেলে ছিল তখন তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে, তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে যায়, আর কিম বেঁচে থাকার উপায় খুঁজতে থাকে।

সে সিদ্ধান্ত নিল যে, সে এই কাজে সরাসরি না জড়িয়ে কিভাবে তার কন্টাক্ট ব্যাবহার করতে পারে তা করতে, কেননা, এতে কিছুটা ঝুঁকি কম, সে টাকা পাচারে সামান্য সহযোগিতা করবে আর ফোন কল সব রিসিভ করবে।

উত্তর কোরিয়ার সব আন্তর্জাতিক কল বন্ধ, তা সে সিদ্ধান্ত নিল, সে কল গুলো তার চোরা চাইনিজ মোবাইল দিয়ে রিসিভ করবে আর এর বিনিময়ে টাকা নিবে৷ কিন্তু দুর্ভাগাবশত সে আবারও ধরা পরল, একটি ছোট ছেলের সাথে পাহাড়ের উপরে ফোন রিসিভ করতে গিয়ে সিক্রেট পুলিশ তাকে ফলো করে আর সে আটকে যায়।

‘ আমি তাদের কাছে আমাকে ছেড়ে দিতে ভিক্ষা চাইলাম, যত টাকা লাগে দিব অফার দিলাম’ কিন্তু তারা বলল যেহেতু ছোট ছেলেটা সব দেখে ফেলেছে আর তার সব ব্যাপারে জানে, তাদের পক্ষে তাকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

উত্তর কোরিয়ায় কাউকে যদি তার শত্রু দেশ যেমন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক করতে দেখা যায়, তা হত্যার চেয়েও অপরাধ হিসেবে গন্য হয়৷

পরিশেষে কিম বুঝতে পারল তার জীবন শেষ, জিওনের সাথে যখন তার পরিচয় হয়, তখন সে বিচারের অপেক্ষায়, এবং সে জানত যে দ্বিতীয়বার শাস্তি অনেক কড়া হবে। তার সামনে ভয়ংকর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে৷

জিওন যার কোন মৃত্যুর ভয় ছিলনা সে ও জীবন নিয়ে হতাশ ছিল।

জিওন তার বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিস শুরু করে, উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন স্থাপত্য প্রদর্শনী গুলো পাহাড়া দেওয়া, ঘাস কাটা আর দুচোখে স্বপ্ন পুলিশের চাকরি।

কিন্তু একদিন তার বাবা তাকে সত্যটা প্রকাশ করে।

‘ আমার বাবা আমাকে বলল, আমার এই ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে কখনো পুলশের চাকরি পাওয়া যাবেনা, কারন আমরা বংশপরম্পরায় কৃষক’।

এখানে উত্তর কোরিয়ায় সবকিছুতেই টাকা লাগে, অবস্থা দিনের পর দিন আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র‍্যাজুয়েশনেও ভালো রেজাল্ট পেতে প্রফেসরদের টাকা দিতে হয়, জিওন বলল।

যখন জিওন জানতে পারল পুলিশের চাকরি তার পক্ষে পাওয়া অসম্ভব, তখন থেকেই সে তার জীবন বদলাতে অন্য চিন্তা শুরু করল।

তার

কিমের সাথে পরিচয় শুধুমাত্র এই পরিকল্পনার বীজ বুপন ছিল, তাদের কথাবার্তা বলার সময়ে তা পুর্নাঙ্গ রুপ ধারন করে।

তাদের দুজনের মধ্যে যে সম্পর্ক হয়েছে তা কদাচিৎ একজন বন্দী আর রক্ষীর মধ্যে হয়না।

বন্দীদের গার্ডদের দিকে তাকানোর অনুমতি নেই, তাদের মধ্যে আকাশ আর পাতালের তফাৎ।

কিন্তু জিওন তাকে লোহার বার দিয়ে কানাঘুষা করত, ক্যামেরা ছিল, বিদ্যুৎ চলে গেলেই ক্যামেরা সামান্য ঘুরিয়ে দিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হত।

বন্দীদের মাঝে কার সাথে কে ঘনিষ্ঠ তা জানা ছিল, কিন্তু সমস্ত ক্ষমতার প্রধান ছিল গার্ডরা।

‘আমি তার আলাদা যত্ন নিতাম, মনে হত আমরা একে অপরের খুবই কাছের’ জিওন বলল।

আর পরবর্তী দুমাসে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে।

কিমের বিচার হল, রায়ে তাকে ৪ বছর ৪ মাসের সাজা দিল, এই ভয়ংকর চংগ্রী জেলখানায় থাকতে হবে এই ভয়ে সে কাতর।

কিম জানত যে, সে কোনদিন সেখানে জীবিত বের হতে পারবেনা, নিশ্চিত মারা যাবে, অতীতের বন্দীদের সাক্ষাত অনুযায়ী তা অনেকবার প্রমাণ হয়েছে৷

‘ আমি হতাশায় প্রায় মুচড়ে পরতাম, নিজেক অনেকবার মেরে ফেলতে চেয়েছি, আর সবসময় কান্না করতাম।

‘ তুমি যখন এই জেলে থাকবে, তুমি সব নাগরিক অধিকার হারাবে, আর মানুষ নয়, যেন একটি পশু।

একদিন জিওন, কিমকে কানে এসে কিছু বলল, এতে কিমের পুরু জীবন পরিবর্তন হয়ে গেল।

‘ আমি তোমাকে সাহায্য করতে চাই প্রিয় বোন, তুমি এই জেলে মরে যাবে, তোমাকে সাহায্য করতে হলে এই জেল থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে’।

কিন্তু অনেক উত্তর কোরিয়ানদের মত, কিম ও জানে যে, কাউকে সহজে বিশ্বাস করা যাবেনা, এটি একটি ফাঁদ হতে পারে।

‘ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি একজন স্পাই? আমার বিরুদ্ধে লেগে কি লাভ, কেন আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলছ? কিন্তু সে বলেই চলল সে স্পাই নয়’।

ধীরে ধীরে জিওন তাকে বলল, সে শুধু তাকে সাহায্য নয় বরঞ্চ তার সাথে দক্ষিণ কোরিয়া পালাবে।

কারন সেও তার নিচু সামাজিক মর্যাদা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, আর যুদ্ধের পরে তার অনেক আত্নীয় এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকেন।

তার আত্নীয়সজন ও তাকে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

একদিন সে কিমকে, বাড়ি থেকে নিয়ে এসে তার আত্নীয়দের ছবি দেখাই, আর সেখানে ছোট করে ঠিকানা লিখা।

কিম তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করল।

যদি ও সে আতংকিত ছিল।

‘ আমার বুক কাপতে লাগল, উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে এই পর্যন্ত কোন বন্দী আর গার্ড একসাথে কখনো পালাতে পারেনি’৷

অবশেষে ২০১৯ সালের ১২ ই জুলাই, তাদের অন্তিম মুহুর্ত চলে আসে, কিমের লেবার ক্যাম্পে যাওয়ার সময় দ্রুত কাছে আসছে, , আর জিওনের বস সেদিন বাসায় ছুটিতে।

গভীর অন্ধকার, তারা হামাগুড়ি দিয়ে বেস্টনির কাটাতার কেটে ফেলল, জানালা দিয়ে এর আগে বের হয়ে আসে, ধানক্ষেত দিয়ে নদী বরাবর যেতে লাগল।

‘ আমি বারবার পরে যাছিলাম আর হোঁচট খাচ্ছিলাম’, কিম বলল, তার শরীর ডিটেনশনে থাকতে থাকতে দুর্বল হয়ে পরেছিল।

কিন্তু এরপরেও তারা নিরাপদের নদীর তীরে পৌঁছে গেল।

হটাৎ প্রায় ৫০ মিটার দুর থেকে একটা আলোর ঝলকানির দেখা গেল, তা ছিল গারিসন গার্ডের লাইট।

‘আমরা ভেবেছি যে, এটি গার্ডদের বাড়তি সতর্কতা যা আমাদের পলায়নের খবর পেয়ে তারা নিয়েছে’ জিওন বলল।

‘ কিন্তু আমরা লুকাচ্ছিলাম আর তাদের দেখছিলাম, গার্ডদের তখন রদবদল হচ্চিল, আমরা তাদের শুনতে পাচ্ছিলাম’।

‘আমরা অপেক্ষা করলাম, প্রায় ৩০ মিনিট পর সব শান্ত হয়ে আসল’।

‘ আমরা নদীতে আসলাম, আমি অনেকবার এই নদীতে এসেছি, পানি হাঁটু সমান ছিল জানতাম, কিন্তু এত গভীর হবে তা চিন্তাই করিনি’।

‘ আমি যদি একা হতাম তাহলে চিন্তাই ছিলনা, আমার সাথে আছে ব্যাগপ্যাক আর সেখানে পিস্তল, তা ভিজে গেল সেটা আর কোন কাজে আসবেনা, তাই আমি এক হাতে তা নিয়ে এগুতে লাগলাম, নদীর গভীরতা বাড়তেই লাগল’।

জিওন সাঁতার কাটতে লাগল আর ওদিকে কিম সাঁতার জানেনা।

এরপর জিওন এক হাতে পিস্তল অন্য হাতে কিমকে নিয়ে নদী পাড়ি দিতে লাগল।

‘ আমরা যখন নদীর মাঝখানে আসলাম, পানি আমার মাথার উপরে, আমি ডুবতে ছিলাম, চোখ খুলতে পারছিলাম না’ কিম বলল ।

সে জিওনকে ফিরে যেতে বলল।

‘ আমি তাকে বললাম, ফিরে গেলে মারা যাব, বরঞ্চ মারা গেলে এখানেই যাই’ কিন্তু আমি অনেক ক্লান্ত ছিলাম, আর ভাবলাম এভাবেই কি আমার সলিলসমাধি হবে? এখানেই কি জীবনের সমাপ্তি ?

অবশেষে জিওনের পা মাঠি খুঁজে পেল।

তারা নদী পার হয়ে সর্বশেষ বিপদসংকুল পাড়ি দিল যা ছিল আরেকটি বেষ্টনী যেটি চীনের বর্ডার এর সীমানা । যদি তখনও বিপদ কাটেনি।

তারা পর্বতে পর্বতে ৩ দিন লুকিয়ে থাকল, একদিন এক স্থানীয় তাদের একটি কথা বলতে ফোন ধার দিল, এক পরিচিত ব্রুকারকে সাহায্যের জন্যে কিম ফোন দিল।

সে বলল যে, উত্তর কোরিয়ার কতৃপক্ষ, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে তাদের ধরতে আর চীনের পুলিশের সাথে পুরো এলাকা তল্লাশি চালাতে আসছে।

এরপর ও তারা তাদের কন্টাক্টের মাধ্যমে একের পর এক নিরাপদ বাড়িতে আশ্রয় নিতে থাকল।

পরিশেষে তারা চীন থেকে বের হয়ে তৃতীয় একটি দেশে যেতে সক্ষম হল। তারা তাদের চুড়ান্ত পলায়নের যাত্রায় আমাদের সাথে গোপন একটি জায়গায় তাদের এই অসাধারণ আর ঘটনাবহুল মিশনের কাহিনি বলতে দেখা করল।

এটি সত্য যে, তাদের পলায়নের পরে উত্তর কোরিয়ার তাদের আত্নীয় স্বজনদের ও অনেক সমস্যায় পরতে হবে এবং তাদের অনেক নির্যাতন করা হবে। তাদের গতিবিধি নজরে রাখা হবে।

এটি সত্য যে কিম তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স আর জিওন পরিবার থেকে দুরে, তাই তাদের পরিবার তাদের সাথে যে যোগাযোগ নেই তা প্রমাণ করতে পারবে।

‘ আমি পালিয়ে এসে পরিবারকে খুব মিস করছি, যদি বেঁচে থাকতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।

যদিও তারা এখন দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাই।

তারপর ও তারা উত্তর কোরিয়ার এই ভয়ংকর পরিস্থিতি পেছনে রেখে পালাতে পারায় বড্ড খুশি ।

কারন এটি উত্তর কোরিয়া যেখানে মানুষ পশুর মত বাস করে, চোখ আছে, না দেখার মত থাকতে হয়, মুখ আছে কিন্তু আওয়াজ করা যায় না।