ওসমান আবির, টেকনাফ :

হাকিম একজন স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। গুম, খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা সহ নানা অপরাধের সাথে সে জড়িত। টেকনাফ মডেল থানায় গুম,খুন,অপহরণ,মাদক মামলা সহ তার নামে ২৮ টি মামলা রয়েছে।  জেলা পুলিশ খুব শীঘ্রই তাকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বন্দুক যুদ্ধে ৪ রোহিঙ্গা ডাকাতের নিহতের ঘটনায় এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ হোসাইন ।

এদিকে  টেকনাফের হোয়াইক্যং গহীন পাহাড়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের ২ ভাই সহ ৪ ডাকাত নিহত হয়।নিহত ৪ জনের মধ্যে দুই জন হাকিম ডাকাতের সহোদর বশির ও হামিদ এবং অপর দুইজন তাদের সহযোগী রফিক ও রইঙ্গা।তারা ৪ জনেই রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত হাকিম গ্রুপের সদস্য।এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয় ৪ টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ হাজার ইয়াবা।এই সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন।

২৬ জুন সকালের দিকে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল গহীন পাহাড়ে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিমের দল অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের বিশেষ দল এই আস্তানা ঘেরাও করে ফেলে। তখন ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশও আতত্মরক্ষার্থে বেশ কিছুক্ষণ গুলিবর্ষণ করে। দু’পক্ষের গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২০ হাজার ইয়াবা ও ৪ টি দেশীয় অস্ত্রসহ বশির, হামিদ, রফিক ও রইঙ্গা নামে ৪ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা মারা যায়।এ সময় আহত হয় পুলিশের তিন সদস্য। পরে আহত পুলিশের ৩ সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে শীর্ষ রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের দুই ভাই সহ তার গ্রুপের ৪ জন সক্রিয় ডাকাত নিহত হওয়ায় জেলা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।