আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের কৃতিশিক্ষার্থী শাহিনা সাইমুম রিমু। অর্থের অভাবে মাঝপথে তার লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছিল। এখন নগদ ১২ হাজার টাকায় বই খাতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের চাহিদা পূরণ হওয়ায় তিনি উচ্চা শিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন।

শাহিনা সাইমুম রিমু বলেন, সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালে তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর মাও অন্য একজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রাম পাড়ি জমান।এখন দাদার বাড়িতে থেকে তিনি লেখাপড়া করছেন। তিনি এখন কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ মানবিকের ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এরকম অভাবি ঘরের মেধাবী ও কৃতি ৩৫ শিক্ষার্থীকে ১২ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ ২০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-কোস্ট ট্রাস্ট।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত চেক হস্তান্তর অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রজব আলী,ধূরুং ছমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মুছা কুতুবী, কোস্ট ট্রাস্টের উপজেলা ব্যবস্থাপক ফজলুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাকেন।

ফজলুল হক বলেন, এসএসসি পাস করে অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেনা-এমন ৩৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে (ছেলে ১৫, মেয়ে ২০ জন) বাছাই করে এই শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জন্য প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল ভালো করলে আগামি বছরও অর্থসহায়তা দেওয়া হবে।

১২ হাজার টাকার চেক পেয়ে মহাখুশি উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সতরুদ্দিন গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী জামাল উদ্দিন।তিনি এখন কুতুবদিয়া সরকবারি কলেজের বিজ্ঞান শাখার দ্বিতীয়বর্ষে পড়ছে।

জামাল উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে সাগরে ট্রলার ডুবিতে তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর মা কঠোর পরিশ্রম করে তাঁর লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন। তবে মাঝখানে বই কেনা হাচ্ছিল না বলে পড়ালেখার মারাত্বক ব্যঘাত ঘটছিল।এখন কোস্ট ট্রাস্টের অর্থসহায়তা সেই অভাব দূর করে দিল। এখন নিশ্চিন্তে এক বছর লেখাপড়া করা যাবে। তাঁর ইচ্ছা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বিকিৎসক হয়ে এলাকার গরীব মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া।