বলরাম দাশ অনুপম :
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সৈকতে ভেসে আসা সেই মৃত তিমির বাচ্চাটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতে টেকনাফ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী এটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে (মঙ্গলবার) প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। তিনি জানান, তিমি মাছ গভীর জলের মাছ এটি দলছুট হয়ে কোন কারনে অগভীর পানিতে এসে আর ফিরে যেতে পারেনি। সেটিই মৃত্যুর কারন বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এছাড়া এটির শরীরে তেমন কোন আঘাত বা ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তিমির পেটে বিষাক্ত কিছু ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেননি শরীরে পচন ধরে যাওয়ার কারনে।
টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের সহায়তায় তিনি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন এবং বন বিভাগের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন। ডা. শওকত আলী নিশ্চিত করেন জলজ প্রাণীটি একটি তিমির প্রজাতি। গত ২০ জুন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম সৈকতে এসে আটকে পড়েছিল তিমিটি। পরে জোয়ারের তোড়ে এটি ভেসে যায় এর দুদিন পর সোমবার সকালে শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিন সৈকতে তিমির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সামুদ্রিক প্রাণী গবেষকরা নিশ্চিত করেন জলজ প্রাণীটি তিমি মাছের একটি প্রজাতি।