নিজস্ব প্রতিবেদক:

রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম বলেছেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে রশিদনগরের একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। চক্রটিতে রয়েছে পরিষদের কতিপয় মেম্বার, বিগত নির্বাচনের পরাজিত মহল এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা। বিচ্ছিন্নভাবে পেরে উঠতে না পেরে সবাই একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সর্বশেষ ২২জুন জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণে অনিয়ম সংক্রান্ত একটি মিথ্যা সংবাদ ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। ওই চক্রের ইন্ধনে কতিপয় সাংবাদিকসহ কয়েকটি ফেসবুক আইডিতে এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩জুন) ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম এই অভিযোগ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রশিদনগরের ইয়াবাপাচার চক্র ও ডাকাতসহ সন্ত্রাসীদের দমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এর সুফল এখন রশিদনগরবাসী ভোগ করছে। আমার প্রচেষ্টার কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডাকাতসহ সন্ত্রাসীরা কোণোঠাসা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বরাদ্দ মেরে দিতে না পারায় কতিপয় মেম্বারও আমার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে। ক্ষুব্ধ হয়ে তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছে যার কোনো ভিত্তি নেই। ইয়াবা ব্যবসায়ী, ডাকাত এবং কতিপয় মেম্বারের সাথে যুক্ত হয়েছে বিগত নির্বাচনে আমাদের বিরুদ্ধে লড়া পরাজিত লোকজন। সবাই যোগসাজস করে সম্প্রতি সময়ে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় অবহিত রয়েছেন।

চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম আরো বলেন, মাছধরার বন্ধ সময়ে রশিদনগরের ১৫৪ ক্ষতিগ্রস্ত জেলের জন্য ৫৬কেজি করে চাল বরাদ্দ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। গত ১৬ জুন এসব চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু কার্ড হারিয়ে ফেলা এবং অনুপস্থিতির কারছে কয়েকজনকে ওই দিন চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। পরে ২২জুন তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে দুইজন জেলে একসাথে ৫৬ কেজির বস্তা না পারায় দুটি বস্তায় আলাদা করে চালগুলো নিয়ে যায়। কিন্তু এই বিষয়টি পুঁজি করে কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করে। তারা এক টিভি সাংবাদিককে ডেকে এনে এই বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেন। ওই সাংবাদিকও তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই ওই চক্রের কথা মতো সম্পূর্ণ মনগড়াভাবে আমি চাল আত্মসাৎ করেছি বলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে ওই পোস্ট আরো কয়েকজন শেয়ার করেন। এই বিষয়ে ওই সাংবাদিকসহ মিথ্যা পোস্টদাতাদের বিরুদ্ধে আমি থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। পরে বিষয়টি জেনে ইউএনও মহোদয় তদন্ত করেন। কিন্তু তদন্তে সত্যতা পায়নি। তাই তিনি ওই সাংবাদিককে ডেকে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি জানাতে পারেননি। এই জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই সাংবাদিক।

আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু শামা, ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোস্তাক আহামদ, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল করিম ও মহিলা ইউপি সদস্য সালমা বেগম এবং যে দুই জেলের নামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে সেই দুই জেলে।