সংবাদদাতা:

করোনার কবল থেকে মানুষকে রক্ষায় জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে রেডজোনে দায়িত্ব পালন করতে হামলার শিকার হয়েছেন আরফাত চৌধুরী (৩৭) নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক।

তিনি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বিজিবি ক্যাম্প চৌধুরী পাড়ার হাজি মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

গত ১৯ জুন হামলার ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দিয়েছেন।

এতে অভিযুক্তরা হলেন- বিজিবি ক্যাম্প পশু হাসপাতালের পেছনের এলাকার নাসির ড্রাইভারের ছেলে মো. জহির (৩৫) ও মো. আবদুল্লাহ (২০)।

এজাহারে আরফাত চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালনকালে বাধা প্রদান করেন মো. জহির ও মো. আবদুল্লাহ। ১৯ জুন শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে বিজিবি ক্যাম্প বুড়িরছড়া মসজিদের পাশে ব্রীজের উপর দায়িত্বরত অবস্থায় অতর্কিত আক্রমণ করে। ছিনিয়ে নেয় তার ব্যবহারের একটি মোবাইল। দুর্বৃত্তদের আঘাতে আরফাত চৌধুরীর মাথা, হাতসহ শারা শরীর আঘাতে রক্তাক্ত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বাদি জানান, বিজিবি ক্যাম্পসহ আশপাশ এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত জহির মটর সাইকেল নিয়ে ব্যারিকেড ডিঙ্গিয়ে ঘুরাঘুরি করলে আরফাত চৌধুরী তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ী চলে যেতে অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত ছুরিকাঘাত করে।

ঘটনার দিনই কক্সবাজার থানায় এজাহার দায়ের করেন আরফাত চৌধুরী।

কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ।

অবশ্যই ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ভিকটিম আরফাত চৌধুরীর অভিযোগ, সন্ত্রাসী জহিরের পক্ষে একটি প্রভাবশালী মহল অবস্থান নেওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে।

মানবিক কাজ করতে গিয়ে এমন অমানবিকতার শিকার হয়েও প্রতিকার বিলম্বিত হওয়ায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

তদন্তপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দেয়ার অুনরোধ জানিয়েছেন বাদি ও এলাকাবাসী।