কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পূর্ব লারপাড়া এলাকায় রোকেয়া বেগম ও তার স্বামী এয়ার মোহাম্মদকে সাংবাদিক ও প্রশাসনের কথিপয় সদস্যদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে ওই এলাকার কিছু প্রতিপক্ষ লোকজন ও কতিপয় সাংবাদিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন আগে আলোকিতা উখিয়া অনলাইন ভার্সনে “পিতা পুত্রের মাদকের আস্তানা” শিরোনামে দায়সারাভাবে কয়েক লাইনের একটি টুনকো নিউজ ছেড়ে দেয়। শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত শিরোনামে সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদটিতে আমাদের কোন বক্তব্যও গ্রহণ করেনি। শুধুমাত্র মাদকের বিষয়টি স্পর্শকতর হওয়ায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের চরিত্র হনন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়েছে।

উক্ত মিথ্যা সংবাদে আমি প্রতিবাদকারী বক্তব্য হলো- আজ থেকে প্রায় ২০ বছর পূর্বে আমি মানুষের বাড়িতে কামলার কাজ করতাম। তখন আমার ছেলে সন্তানরা ছোট ছিলো। পরে সংসারের সচ্চলতা ফিরে আনতে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঝণ নিয়ে এলাকায় টমটম এর খুচরা পার্টসসহ একই দোকানে মুদি পণ্য বিক্রি করি। প্রায় ২০ বছর ধরে এ দোকানদারি করতে গিয়ে আশা, মুক্তি বুরো বাংলাদেশ, মানি লিংক মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটি ও ঢাকা মার্কাইন্টার ব্যাংক থেকে এখনো আমার প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা ঝণ রয়েছে। আর করোনা পরিস্থিতি প্রতি সপ্তাহ ও প্রতিমাসে এই ঝণ পরিশোধ করতে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। যা এলাকার সবাই জানে। এছাড়া ঝণ শোধ করতে আমার  আজকের দিন পর্যন্ত একটি পানের দোকান করে। দু’ছেলের বউ, নাতিনাতনি ও আমাদের ১৫ সদস্যের সংসারে যাবতীয় খরচের লাগাম টানটে আমরা স্বামী-স্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কিন্ত আমরা অশিক্ষিত লোক হওয়া ও আমার ব্যবসা বাণিজ্যে একটু স্বচ্ছল হওয়ায় এলাকার কিছু প্রতিপক্ষ কথিপয় সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোক দিয়ে আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। আবার কয়েকদিন আগে কথিপয় সাংবাদিক মাদকের দোহাই দিয়ে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং আমাদের নানাভাবে নির্যাতন করে। পরে বলে, আমরা আপনাদের থেকে টাকা-পয়সা চাইনি যে, তার জন্য সাদা কাগজে দস্তগত করেন। কিংবা ক্যামেরায় রেকর্ডে বলো।

আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক ভাইদের প্রতি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আপনারা তদন্ত করে দেখুন, মাদকের সাথে আমি ও আমার পরিবারের কোন মম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে আপনারা আমাদের যে শাস্তি দেবেন তা মাথা পেতে নেবো। সাংবাদিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভাইদের প্রতি এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। অন্যতায় এ মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। না হয় আমরা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিবো।

প্রতিবাদকারী
রোকেয়া বেগম (দোকানী) ও এয়ার মোহাম্মদ