হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর:
সন্তানের সুখের জন্য নিজের সমস্ত সুখ বিসর্জন দেন বাবা । একমাত্র বাবাই সন্তানের সুখ-শান্তির জন্য বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ অবিরাম প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন। সেই বাবার জন্য কেবলমাত্র একটি দিবস! কেমন কৃপণ ও অকৃতজ্ঞ সন্তান হলে সারাবছর বাবার কোন খেদমত না করে, খোঁজ -খবর না রেখে একটি মাত্র দিন লৌকিকতা সর্বস্ব “বাবা দিবস” পালন করতে পারে?।।

কনকনে শীতে, অগ্নিঝরা রোদে
বিশাল মাঠ প্রান্তর মাড়িয়ে
কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে
অবিরাম পরিশ্রমেও নেই যাঁর ক্লান্তি
তিনিই বাবা
সন্তানের সুখেই তাঁর প্রশান্তি।

সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে
অবিরত যে কষ্টযাত্রা
দিন যত গড়ায় বাড়ে তার মাত্রা
তবুও নেই নাকো বিশ্রাম
কারণ বাবা-ই তাঁর নাম।

আপন দুঃখ -বেদনা
কিছুই না যার কাছে
যদি প্রিয় সন্তান সুখে থাকে
এজন্যই ঝরায় রক্ত-ঘাম
বাবা এমনই মহৎপ্রাণ।

সন্তানের কিঞ্চিৎ কষ্টেও
যিনি অনুভব করেন
সীমাহীন যন্ত্রণা
তিনি আর কেউ নন
বাবাই তেমন উদারপ্রাণ।

পাহাড়সম কষ্টের বোঝা
সহেও যিনি চেষ্টারত
গড়তে সুখের নীড়
সন্তানেরা কিসে পাবে শান্তি
এমন চিন্তাই তাঁর মাঝে
জমায় শুধু ভীড়।

ফরিয়াদ করি আল্লাহর কাছে
দাও অনন্ত সুখ
সুপ্রিয় মা-বাবাকে
উভয় জাহানে কল্যাণদানে
শান্তিময় করো তাঁদের আত্মাকে।

লেখক-
সভাপতি
রামু লেখক ফোরাম