ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া :
দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের হাড়ভাঙার চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া চকরিয়ার স্বনামধন্য অর্থোপেডিক চিকিৎসক শম্ভু দে’র (৬৬) আকষ্মিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি আজ রবিবার বেলা পৌণে দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রামের ডেল্টা হাসপাতালে মারা যান। তিনি পৌরশহরের চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়ার প্রয়াত জগৎ চন্দ্র দে’র পুত্র।

পরিবার সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগে তিনি তীব্র শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন। নিয়মিত তিনি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ১০দিন আগে। এই অবস্থায় তাকে প্রথমে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামের ডেলটা হসপিটালে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক শম্ভুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনার ফলাফলে শম্ভুর করোনা নেগেটিভ আসে।

এদিকে চিকিৎসক শম্ভুর আকষ্মিক মৃত্যুতে পুরো কক্সবাজারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শত শত শুভাকাঙ্খি শোক প্রকাশ করে পোষ্ট দেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ফেসবুক পোষ্টে অনেকেই লিখেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের হাড়ভাঙার চিকিৎসায় তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন এতদাঞ্চলের গরীব, অসহায় মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। তিনি মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে।

চিকিৎসক শম্ভুর আকষ্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী,
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান, প্রয়াত চিকিৎসক শম্ভুকে সবুজবাগস্থ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে সৎকার্য সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।