ডেস্ক নিউজ :
যারা বাবাকে ঠকিয়ে বাবা হয়েছেন, তারা ব্যতীত পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও নিবিড় ভালোবাসায় আমার মাথা নত হয়ে আসে।পরিবারের সবার ছোট ও আদরের তাই সব থেকে বেশি দুষ্টুমি আমিই করেছি। না বুঝে আব্বার সঙ্গে জেদ দেখিয়েছি। আবার গিয়ে আব্বা আমার ভুল হইসে, আমি আর এমন করব না বলে ক্ষমাও চেয়েছি অসংখ্যবার। তবে ঠকাইনি। সহজ-সরল শান্ত এ মানুষটা সারাটা জীবন গাধার মতো হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেছে। পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করেছে।

শুধুই কি তাই, তার জীবন যৌবনের মূল্যবান সময়গুলোয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কখনোবা নিজের পুরাতন জামাটা একটু ছিঁড়ে গেলে, সেটাকে সেলাই করে ইস্ত্রী করে বারবার পড়েছে। অনেকসময় হয়তো, নিজের স্যান্ডেলগুলির তলা ক্ষয় হয়ে গিয়েছ; সেটা নিজেকেই বুঝতে দেননি। নতুন জামা আর ক্ষয় হওয়া স্যান্ডেলেই ক্লান্ত পথে হেঁটেছে, কিন্তু তবুও সন্তান যেনো সোসাইটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে -মাথা উঁচু করে চলতে পারে; বাবা এটাই চেয়েছে।

এখন তাঁর হারাবার কিংবা পাওয়ার কিছু নাই। তিঁনি চাইলেও তার পুরনো সুন্দর ইয়াং লাইফটায় ফিরে যেতে পারবেন না। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকুতে সন্তানদের চলার পথ মসৃণ করে দিয়ে,তিনি আজ বড্ড ক্লান্ত। আমাদের উচিত তাকে বিশ্রাম দেয়া,ভালো ব্যাবহার করা,মনে কষ্ট না দেয়া। এরকম ফেরেশতা রুপি মানুষ; আল্লাহ্ একমাত্র বাবাদেরই বানিয়েছেন। আমরা বাবাকে ঠকাবো না। বাবার কাছে জেনে না, না-জেনে অনেক অন্যায় আমরা করেছি। আসুন বাবার প্রতি নম্র হই। বাবাকে যেনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে না ঠকাই।

পৃথিবীর সকল বাবা ভালো থাকুক। নতুন বাবাদের এবার খোদা বোঝার তৌফিক দিক। বাবার দিবসের এর বেশি কিছুই চাইনা।

আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি আব্বা💛

শাহ্ ওমর

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।