ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজিরঃ
কক্সবাজার জেলার রোগীর সংখ্যা ২০০৭।দেখতে দেখতে ২ হাজার পার হল। বিগত ২ সপ্তাহ কার্ফু টাইপের লকডাউন না হলে সংখ্যাটা আরও বাড়ত। লকডাউনে স্বেচ্ছাসেবক এবং পৌরসভার যৌথ অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত।
#১৯/৬/২০ তারিখে সদর উপজেলায় ৭২ জন, রোগী দেখে অনেকে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখা যায় স্বাভাবিক। সেদিন ৭২ এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি বিভিন্ন উপজেলা রোগী ও বিভিন্ন বাহিনীর সদরের বাইরের রোগীদের বাদ দিলে রোগীর সংখ্যা ৬০। মানে, ৪২৯ স্যাম্পলে ৬০ রোগী মানে ১৩.৯৮% গতকাল (২০/৬/২০) ৭৮ স্যাম্পল ১২ জন রোগী মানে ১৫.৩৮%.। তবে কতগুলো চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হচ্ছে , যেমন,
#অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা ফরম পূরণের সময় শুধু কক্সবাজার লিখে থাকেন, কক্সবাজার হচ্ছে কুতবদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত। খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
কারণ, তাদের দেওয়া মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যাচ্ছে না।
এতে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনতে না পারলে অভিযান ব্যর্থ হবে।
#২০০০ রোগীর পেশা হিসেবে ভাগ করলে, যদি দেখি টপ-৫ পেশার লোক
১. ছাত্র-ছাত্রী ২২.২৩%
২. এনজিও প্রতিনিধি ১৬.৭২%
৩.স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ৮.৯৬%
৪. বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ৭.৫%
৫.ব্যাংকার ৪.৪%।
বাকিরা অন্যান্য পেশার। এখানে রোহিঙ্গা যদি হিসাব করি ৩.০%। রোহিঙ্গাদের মাঝখানে অন্য পেশার যেমন, ফার্মাসিস্ট, পল্লী চিকিতসক, ব্যবসায়ী, দিনমুজুর অনেক আছে। মৃত্যুর সংখ্যা ও ১.৫%.।
তাহলে টপ-৫ এই পেশা গুলিকে এড্রেস করে, উনাদের চ্যালেঞ্জ গুলি খুঁজে বের করে, ট্রেকিং, ট্রেসিং, টেস্টিং ও ট্রিটিং এর আওতায় নিয়ে আসতে পারলে এবং তাদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মোতাবেক “সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ” বাস্তবায়ন করতে পারলে কক্সবাজার জেলা করোনা মুক্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।

ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির
সহকারী অধ্যাপক
সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
২১/৬/২০