এস.এম. তারেক, ঈদগাঁও:

গত মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারনে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হয়েছে। ফুলেশ্বরী (ঈদগাঁও নদী) নদীর পানি বর্তমানে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারনে নদীর বেড়িবাধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। পানির নিচে তলিয়ে গেছে সদরের প্রধান বানিজ্যকেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের হাসপাতাল ও তেলীপাড়া সড়ক।

জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বাজারের বিভিন্ন সড়ক উপসড়ক এবং অলিগলিসমুহ কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে ফুলেশ্বরী নদীর বেড়িবাধের মনজুর মৌলভীর দোকান পয়েন্টের অংশবিশেষ। এতে করে পূর্ব ফরাজীপাড়া গ্রামের প্রায় ২শ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আলম । একইসাথে ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়া পয়েন্ট দিয়ে ফুলেশ্বরী নদীর পানি ঢুকে ১৬০ টি পরিবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে মাছুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল দাশ। বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ, ঈদগাঁও হাইস্কুল এবং ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানান, প্রবল বৃষ্টির কারনে তার ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এবং পাল পাড়ায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চৌফলদন্ডীর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল জানান, ভারী বর্ষণের কারনে ওই ইউনিয়নের কোন গ্রাম এখনও পর্যন্ত প্লাবিত না হলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

ইসলামপুরের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, প্রবল বর্ষনের কারনে ওই ইউনিয়নের বেশীরভাগ মৎস্যঘের ইতিমধ্যেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বোগদাদিয়া সল্ট মিলের সামনের কালবার্টটি অকেজো হয়ে পড়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় চরম ব্যাঘাত হচ্ছে। যে কারনে পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং স্কুল মাদ্রাসাগুলো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

ইসলামাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক জানান, ফুলেশ্বরী নদীর গার্লস স্কুল পয়েন্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখাকালীন তার নেতৃত্বে এলাকাবাসী বালির বস্তা দিয়ে বাধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত এবং বানবাসী মানুষের জন্য সদর উপজেলা

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল্লাহ মারুফ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডর প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে তিনি বিভিন্ন এলাকা পরদর্শনে রয়েছেন। পরিদর্শন শেষে কোথায় কি দরকার সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।