এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও

দুদিন ধরে টানা ভারী বর্ষনে সদরের ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে বাড়ীমুখী হচ্ছে। অনেক দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। হাটু পরিমান পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে বাজারবাসী। হাসপাতাল সড়ক, চাউল বাজার সড়ক, তরকারী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানিতে নিমজ্জিত। ডিসি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলেশ্বরী নদীর দুই তীর উপচে পড়ছে পানিতে। আতংকিত তীরের পাশ্ববর্তী ঘরবাড়ীর মানুষরা। ভাঙ্গনের মুখে নদীর ভাঙ্গন প্রবণ বিভিন্ন দূর্বল পয়েন্ট।

বিশেষ করে পাল পাড়া, কানিয়াছড়া, বাঁশঘাটা, কবি নুরুল হুদা সড়ক, রাবারড্যামসহ কালিরছড়া ঝুঁকির মুখে।

ঈদগাঁওর মাইজ পাড়া, জাগিরপাড়া, কলেজ গেইট, চান্দেরঘোনা, জালালাবাদের বট তলী পাড়া, ইদ্রিসপুর, তেলীপাড়া, ইসলামাবাদের চরপাড়াসহ নানাস্থানে অথৈ পানি।

তবে কিছু কিছু এলাকা থেকে পানির কারনে লোকজন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে নিরাপদে সরে যাচ্ছে।

জালালাবাদের ইদ্রিসপুরের সেলিম, ইমরান জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ীতে হাটু পরিমান পানি। খুব কষ্টে আছে। পানি না সরলে রাতের ঘুম হারাম হবে। রান্নাবান্না হবে কিনা সন্দেহ।

শিক্ষার্থী আসমা আহমেদ ছোটমনি জানান, রাবারড্রামস্থ ঈদগাঁও নদীর পানি চরপাড়া রাস্তা ভেঙ্গে ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ছে। তবে এলাকার যুব সমাজ কোন রকম রক্ষাকল্পে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ভরা খালের ঘরবাড়ী নির্মান করায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিত কাজের কারণে খালের পাশ্ববর্তী ঘরবাড়ীতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে। বেকায়দায় পড়েছে এলাকাবাসী।

ঈদগাহ ব্লাড ডোনারস সোসাইটির মড়ারেটর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, ঈদগাঁও বাজারে শতকরা ৪০ ভাগ দোকানে পানিবন্দি।