মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

করোনা সংক্রমণ আধিক্যের কারণে ‘রেড জোন’ ঘোষিত কক্সবাজার পৌরসভায় চলমান লকডাউন আগামী ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বর্ধিত লকডাউনে সাপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার ২ দিন স্থায়ী বাজার ব্যবস্থার পরিবর্তে ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থা চালু করা হবে। লকডাউন কার্যকর করার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত বিশ্বস্ত সুত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাপ্তাহে ২ দিন বাজার গুলো খোলা থাকায় বাজার সদাই করতে গিয়ে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সাপ্তাহে ৫ দিন স্থায়ী বাজার বন্ধ থাকায়, যে ২ দিন খোলা থাকে সে ২ দিন বাজারে প্রচুর জনসমাগম ঘটে ও ব্যবসায়রীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে করোনা সংক্রমণ কমাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে যে লকডাউন চলছে, তা অর্থহীন হয়ে পড়ছে। তাই কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪ থেকে ৬ জন রিকসা ভ্যানে করে মাছ, মাংস, কাঁচা তরি তরকারি, নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তখন স্থায়ী বাজার গুলো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। রিক্সা ভ্যানে বিক্রয়কারীকে স্থায়ী বাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রতিদিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ক্রয়কারীরা যাতে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতার কাছে ভীড় না করে দুরত্ব বজায় রেখে বেচা কেনা করে, সেজন্য রিক্সা ভ্যানের সাথে স্বেচ্ছাসেবকও দেওয়া হবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত করে দেওয়া বিক্রয়মূল্যে ভ্যানওয়ালা পণ্য বিক্রি করছে কিনা, তার প্রতিও স্বেচ্ছাসেবকেরা নজরদারি করবেন। কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিটি অলি গলিতে ভ্রাম্যমাণ রিক্সা গুলো গিয়ে বেচা কেনা করবে।

কক্সবাজার পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ৫/৬ টি রিক্সা ভ্যানে করে পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী বিক্রেতাদের সিলেকশন করার জন্য পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার ২১ জুন থেকে ‘রেড জোন’ এলাকা কক্সবাজার পৌরসভার সর্বত্র ভ্রাম্যমান এই বাজার ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন।