এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার উত্তরাংশের ২৯ কিলোমিটার এলাকায় নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা এবং সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ। পাশাপাশি সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মহাসড়কে সবধরণের তিনচাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং কথিত পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তড়িৎ তা বন্ধে মাঠে নেমেছেন চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সেইজন্য ইতোমধ্যে সড়কের প্রতিটি পয়েন্টে শ্রমিক সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দর্শণীয় স্থানে পরিবহন শ্রমিক যাত্রী সাধারণের সঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো.আনিছুর রহমানের নেতত্বে হাইওয়ে ফাঁিড়র একটি টিম। একই সঙ্গে সড়কের বিভিন্নস্থানে পথসভা, মাইকিংসহ নানাভাবে চালানো হচ্ছে এই প্রচারণা।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো.নজরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এবং সহকারি পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম সার্কেল) মো.সফিকুল ইসলামের বিশেষ নির্দেশে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার উত্তরাংশের ২৯ কিলোমিটার এলাকায় নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা এবং সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো.আনিছুর রহমান। আর প্রতিদিন মহাসড়কের ২৯ কিলোমিটার সড়কজুড়ে (উত্তরে আজিজনগর জেলা পরিষদ গেইট থেকে দক্ষিনে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাসেঁরদিঘী সেনা ক্যাম্প পর্যন্ত) এলাকায় প্রায় প্রতিটি সচেনতামূলক কর্মকা-ে উপস্থিত থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো.আনিছুর রহমান। ওইসময় সেখানে উপস্থিত পরিবহন শ্রমিক যাত্রী সাধারণের সঙ্গে সচেতনতামূলক ব্যতিক্রমী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। একইসসময়ে তিনি সড়কের বিভিন্নস্থানে পথসভা, মাইকিংসহ নানাভাবে চালানো কাজে পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে দিচ্ছেন ইতিবাচক নানা দিকনির্দেশনা।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (আইসি) পুলিশ পরিদর্শক মো.আনিসুর রহমান বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কের চকরিয়া অংশে পরিবহন সংশ্লিষ্ট কথিত বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়ে একশ্রেণির লোক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ আসছে। বিষয়টি জানার পর হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো.নজরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এবং সহকারি পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম সার্কেল) মো.সফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা মহাসড়কে শ্খৃলা ফেরাতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে নেমেছি। সেইজন্য ইতোমধ্যে পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ সাধারণ জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি, সবাইকে সচেতন করার চেষ্ঠা করছি।

তিনি আরো বলেন, আগে থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে, মহাসড়কে তিনচাকার যানবাহন তথা সিএনজি অটোরিকসা, মাহিন্দ্র, ইজিবাইক (টমটম) চলাচল করতে পারবেনা। আমরা আদালতের সেই নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করছি। ইতোমধ্যে বিষয়টির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণে সবাইকে কঠোর হতে নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও মহাসড়কে কোন ধরণের নৈরাজ্য পরিলক্ষিত হলে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। #