মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা বিভাগের উদ্যোগে বন্য হাতিসহ সকল ধরণের প্রাণী সংরক্ষণ, মানুষ-হাতির মধ্যে সহাবস্থান ও অভয়ারণ্য সৃষ্টিসহ আক্রমণ থেকে জান-মালের রক্ষার বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি কুমারী বাজারে এ সভা অনুষ্টিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাবেদ মীরজাদা, বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরে আলম হাফিজ, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীর চৌধুরী, কুমারী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শহীদুল হক, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মো.নুরুল করিম আরমান, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বুদ্ধকরণে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন- আবু বক্কর, আবু ওমর ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ। এতে ইউনিয়নের হাতি প্রবণ কুমারী, আড়াই মাইল, চাককাটা, বড়ছন খোলা, কবিরার দোকান সহ কয়েক গ্রামে দেড় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, গ্রাম পুলিশ অংশ গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইউনিয়নের খালকুইল্যা পাড়ার ঝিরিতে একটি মৃত হাতি পাওয়া যায় ও হাতি মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে পাইন্যাঝিরিতে আবদুর রহিম নামের এক যুবক নিহত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়চার বলেন, আমরা প্রকৃতির, প্রকৃতিও আমাদের। সুন্দর এই প্রকৃতি ও পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বন্যপ্রাণী। প্রকৃতির এই অমূল্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। সে দায়িত্ব শুধু যে বন্যপ্রাণীর জন্য তাই নয়, কেনো না কোনোভাবে মানুষের অস্তিত্বের জন্যই বন্য প্রাণী রক্ষা জরুরি। তাছাড়া বন্য প্রাণী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। তাই হাতিসহ যে কোন বন্য প্রাণীকে ফাঁদ পেতে হত্যা না করে সংরক্ষণ করতে হবে।