শিক্ষাবার্তা : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ দুই সপ্তাহ পার হলেও উচ্চমাধ্যমিকের ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও। করোনা পরিস্থিতির কারণে কবে থেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে তাও প্রায় অনিশ্চিত। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের সেশনজটে না ফেলতে ক্লাসের সময়সূচি বৃদ্ধি এবং বাড়তি ক্লাস করে তা পুষিয়ে নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৩১ মে সারাদেশে প্রকাশিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফল। গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী, যা গতবারের তুলনায় ৩০ হাজারেরও বেশি। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে দেখা যাচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

এদিকে গত ৭ জুন থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে ১৭ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড। এক মাস ২০ দিন তথা ৫০ দিন ধরে তিন ধাপে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে তাতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়া হতে পারে। সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর আশা তাদের। ক্লাস শুরু হতে বিলম্ব হলেও একাদশ শ্রেণির ক্লাসের সময় এবং বন্ধের দিনগুলোতে বাড়তি ক্লাস করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়া হয়নি। চলতি মাসের ৭ তারিখ (জুন) থেকে ভর্তি আবেদন শুরু করতে প্রস্তাব পাঠানো হলেও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।