অগনিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের জ্ঞাতার্থে আমার শারীরিক অবস্থা জানানো প্রয়োজন বলে মনে করছি-

প্রথমত আমি আজ ৯ দিন ধরে কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গে ( জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যাথা, দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা চিনচিন-ঝিমঝিম ইত্যাদি) ভূগছি। ওই সময় থেকেই আমি বাসায় আইসোলেশনে থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছি। গত ৭ জুন কক্সবাজার সদর হসপিটালে কোভিড-১৯ এর টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছি। কিন্ত আজ ১২ জুন পর্যন্ত টেস্টের ফলাফল পাইনি। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে এক চিকিৎসক বন্ধুর পরামর্শে গত ১১ জুন কক্সবাজার সদর হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসক আমাকে বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন, একই সাথে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে যোগাযোগ করতে বলেন। সর্বশেষ অন্য উপসর্গ মোটামোটি কমে আসলেও কাশি- শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, ‘এই ভালো এই খারাপ’ এমন অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে। টেস্ট ফলাফল না পেলেও এরই মধ্যে কিভাবে জানি আমি ‘পজেটিভ’ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে একধাপ এগিয়ে অনলাইনে নিউজ করেছে। তবে রিপোর্ট না পেলেও চিকিৎসক পজেটিভ ধরে নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কৃতজ্ঞতাঃ-
অসূস্থতায় খোঁজ খবর নিয়েছেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র-জুনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, প্রিয় সহকর্মীগন, প্রিয় প্রাণ প্রকৃতির বন্ধুগন, আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী ফোন করে অসুস্থতার খোঁজ খবর নিয়েছেন, প্রয়োজনে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা বেশ কয়েকজন চিকিৎসক বন্ধু নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে পাশে আছেন। অসুস্থতায় শত শত শুভাকাঙ্ক্ষীর এই যোগাযোগ সত্যিই আমার মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করি পুরোপুরি সূস্থতা আসা পর্যন্ত সকলকে পাশে পাবো। আল্লাহর রহমত, সকলের দোয়া ও সহযোগিতায় এন্টিবডি তৈরীতে সক্ষম হবো- ইনশাআল্লাহ।

উপলব্ধিঃ-
যথাযথ চিকিৎসা ও পরিবেশ পেলে কোভিট-১৯ আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী সূস্থ হয়ে উঠে। তাই সকলের জন্য চিকিৎসা, টেস্ট ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্তরা সঠিক গাইডলাইন পেলে অধিকাংশই ভালো হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। ## আসুন সকলেই স্বাস্থ্য গাইডলাইন মেনে চলি, ঘরে থাকি, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করি, সকলেই এন্টিবডি তৈরীতে মনোযোগী হই।
সকলের দোয়া ও ক্ষমাপ্রার্থী।

রাশেদুল মজিদ

সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী

১২ জুন, শুক্রবার, কক্সবাজার।