লকডাউন ডায়েরি – ৭

প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২০ ১২:৪৮ , আপডেট: ১২ জুন, ২০২০ ০১:১৪

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


১. শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়শন এবং ফিড সাপ্লাই এসোসিয়েশন যৌথ ভাবে কভিড ১৯ রোগীদের জন্য ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করে।সেব সভপতি জনাব আশেকউল্লাহ এম পি এবং সাধারন সম্পাদক জনাব নজিবুল ইসলাম সাহেবকে সমিতির সভ্যদের সাথে আলোচনা করে এই মহতি উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য ধন্যবাদ । সমিতির এই উপহার অক্সিজেন সংকটে কারনে করোনা রুগীর মৃত্যু ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমতে পারে । সেব করোনা সংক্রমনের প্রথমদিকে কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছিল ।
২০০০-২০০১ সালের দিকে বাগদা চিংড়ি হ্যাচারীর স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য সেব গঠন করা হয়েছিল । সেব প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকায় ছিল , সোনার গাঁ হ্যাচারীর মালিক মরহুম জনাব আব্দুল কাদের , চট্রগ্রামের জনাব লতিফ এম পি , উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হক চৌ , উখিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম জনাব শাহ আলম , মহেশখালীর মরহুম রইছ উদ্দীন , মডার্ন হ্যাচারীর আবু সুফিয়ান , বেংগল বে জনাব আমিন এমপি , সৌদিয়া হ্যাচারী জনাব কফিল উদ্দিন , গোপালগঞ্জের বাবুল ভাই , নিরিবিলি হ্যাচারীর লুৎফুর রহমান কাজল প্রমুখ আমাকে সভাপতি এবং জনাব মাহমুদুল হক চৌ কে সচিব করে প্রথম কমিটি গঠিত হয় । জনাব চৌধুরি অফিস করনিক হিসাবে দক্ষ ছিলেন । সমিতির নাম করন , ঢাকায় বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সে তালিকাভুক্তির জন্য যথেষ্ট অবদান রাখেন । সে সময় আমরা সবাই মিলে হ্যাচারীতে চিংড়ি পোনার চাহিদানুযায়ী উৎপাদন এবং কক্সবাজারে বিপননের ব্যবস্থার পদ্ধতির প্রচলন করি । এর সুফল হিসাবে কক্সবাজারে অনেক তরুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয় । বর্তমানে অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । কক্সবাজারে বাগদা চিংড়ি এবং সংশ্লিষ্ট খাতে প্রায় ৫০০কোটি টাকার অর্থ সঞ্চালন হয় ।জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী নিজের বায়না করা কক্সবাজারের গণপুর্তের সাড়ে সাত কাঠার প্লট আমার অনুরোধে সমিতিকে হস্তান্তর করেন । সে প্লটে আমরা অফিস স্থাপন করি । বর্তমানে জমিটির বাজার প্রায় মুল্য ১০ কোটি টাকা ।কক্সবাজার শহরে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্টার সময়ও সেব এর সভ্যরা কয়েক লক্ষ টাকা প্রদান করেন । টেকনাফের স্মৃতি বিজড়িত মাথিনের কুপ সংরক্ষনেও অনুদান দেয় ।সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সেব সব সময় মানুষের পাশে ছিল ,আছে এবং থাকবে । সেব এর প্রতি শুভ কামনা রইল ।

২. রাশেদের করোনা পজেটিভ হয়েছে । সে ত্যাগী ছাত্র নেতা । জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সহসভাপতি এবং কক্সবাজার সরকারী কলেজের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল ।মেধাবী ছাত্র হওয়ার পরও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারনে তার ভাগ্যে ব্যাংক বীমা বা সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভাল চাকুরী জুটে নায় ।মাথার উপর অনেক মামলা । ছোটখাট ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে । তার মত অসংখ্য মেধাবী তরুন ভিন্নমতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারনে ডজন ডজন মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে অনিশ্চিত বেকার জীবন যাপন করছে । আমরা এমন একটা সমাজে বাসকরি যেখানে একই পেশার পরও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদ ।সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক ।আমলাদের বিরুদ্ধে আমলা ।প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রকৌশলী ।আইনজীবির বিরুদ্ধে আইনজীবি ।ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ।সর্ব ক্ষেত্রে বিভাজন । যুক্তিহীন সমাজ আর নিয়ন্ত্রিত গনতন্ত্রে বড় হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম ।স্নেহের রাশেদুল হকের সুস্থ্যতা কামনা করি ।

লুৎফুর রহমান কাজল
জুন ১২ ,২০২০
নিরিবিলি