আবুল কালাম ,চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি লায়ন মো. কামাল উদ্দিন শ্বাসকষ্ট নিয়ে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ, ম্যাক্সসহ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ঘুরাঘুরির পর কোথাও করোনা সন্দেহে ভর্তি না নেয়ায় চলে গেলেন না ফিরার দেশে।

জানাজায় অবশেষে নগরীর আর এক হাসপাতাল ট্রিটমেন্ট এ যখন আনা হয় তখন তার অক্সিজেন লেভেল নেমে গিয়েছিলো ৭৮-এ। তার প্রয়োজন ছিল তখন আইসিইউ সাপোর্ট। কিন্তু ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যার মধ্যে তিনটি রোগী ভর্তি ছিলো।

নগর বিএনপির সভাপতি চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, তাঁর করোনার উপসর্গ ছিলো। শ্বাসকষ্টে বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি, এরপরও অক্সিজেন মেলেনি।

পার্কভিউ, ম্যাক্স ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোথাও করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়নি। ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে যখন আনা হয় তখন তার অক্সিজেন নেমে গিয়েছিলো ৭৮-এ। তখন তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগতো। কিন্তু ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যার মধ্যে তিনটি রোগী ভর্তি ছিলো।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, সব হাসপাতালে আইসিইউর খোঁজ করা হলেও কোথাও আইসিইউ মেলেনি। মূলত আইসিইউর অভাবে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে নগর বিএনপির নেতারা শোক প্রকাশ করেন।

এদিকে কামাল উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে কামাল উদ্দিন পাশে ছিলেন। সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়।