সানজীদুল আলম সজীব :

কক্সবাজারের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, খ্যাতিমান আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহযোদ্ধা এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, কক্সবাজারের এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সাহেব ষাটের দশকে যখন রাজনীতি একেবারে নিষিদ্ধ ছিল, তখন ষাট সালের ডিসেম্বর আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আমরা স্বপরিবারে প্রতি বছর কক্সবাজার বেড়াতে যেতাম। তখন ওনি ছাত্র ছিলেন। তারপর এর পরবর্তীতে ৬৮ সালে নভেম্বর মাসে আমার বিয়ের পর পর যখন আমি কক্সবাজার যাই, তখনও তিনি আমাকে উৎসাহ দিতেন, তখন আমি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু যদিও পরবর্তীতে তিনি ড. কামাল হোসেন সাহেবের সাথে চলে যান, গেলেও আমার সাথে তাঁর সবসময় যোগাযোগ ছিল এবং আমি ওনাকে বলতাম আপনার জন্য আওয়ামীলীগের দরজা সবসময় খোলা। ঠিক মৃত্যুর কিছু দিন আগে তিনি যখন খুব অসুস্থ ছিলেন, তখন তিনি বলেন যে, খালি নেত্রী কে একটু বইলো আমি আওয়ামীলীগ হয়ে মরতে চাই৷ আমি বললাম, আমি তো ওনাকে কখনো বাইর করে দেইনি, ওনি যান, ওনি আসেন, ওনি আছেন, ওনি থাকবেন। আমাদের সংগঠনের অনেক পুরোনো মানুষ এদের অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

বুধবার ১০ জুন জাতীয় সংসদে বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত এডভোকেট জহিরুল ইসলামকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আবেগঘন শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণ করেন। বুধবার বিকাল ৫টায় শুরু হয় একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশন।

এডভোকেট জহিরুল ইসলাম (৮৫) গত ১৮মে ইন্তেকাল করেন। করোনার ক্রান্তিকালে বরেণ্য এই নেতার মৃত্যুতে সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট জহিরুল ইসলাম মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী এডভোকেট জহিরুল ইসলাম গণপরিষদের সদস্য, কক্সবাজার মহকুমার গর্ভনর, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সফল সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং গণফোরাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও দীর্ঘদিন পালন করছেন তিনি।