মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:

মৃত্যুর একমাস পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয় চকরিয়া উপজেলাধীন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও যুবদলের আহ্বায়ক আবদুর রহিম প্রকাশ ‘রহিম মেম্বার’র।

মঙ্গলবার ৯ জুন পবিত্র জুহর নামাজের পর সৌদিআরব বাইতুল্লাহ শরিফে মরহুমের জানাজা শেষে তাকে সেখানে দাপন করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ মে তারিখে মক্কা শহরের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

ওইদিন তার নিজ বাসায় হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক জ্ঞান হারায়। তাৎক্ষণিক নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিক সুত্রে জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে আবদুর রহিম সৌদি আরবে বসবাস করতেন। দেশে থাকতে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

মরহুমের বড়ভাই আবদুল করিম বলেন, সৌদি আরবের মক্কা শহরে তার ভাই আবদুর রহিমের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে ঢ’লে পড়লে তার মাথায় সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সৌদি সরকার এ আঘাতের চিহ্নটি অন্য কোন কারণে কিনা বা তার মৃত্যুতে রহস্য আছে কিনা পরিক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাই তার দাফন কাজ শেষ করতে একমাস বিলম্ব হয়। এছাড়া বেঁচে থাকতে রহিম বন্ধুবান্ধবদের বলতেন তার মৃত্যুটি যদি আল্লাহর পাক পবিত্র জায়গায় হতো! তাই সবকিছু বিবেচনা ও পারিবারিক সকলের সিদ্ধান্তে তাকে সেখানেই দাপন কাঁপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবদুর রহিম ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্থ পূর্ব মাইজ পাড়ার মরহুম মোজাফফর আহমদের পুত্র ও আবদুস শুক্কুর মিস্ত্রির ছোট ভাই। মৃত্যকালে তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। তিনি দুই মেয়ে এক পুত্র সন্তানের জনক এবং নয় ভাই এক বোনের মধ্যে পঞ্চম।
ছোট-বড় সকলের প্রিয়জন আবদুর রহিম ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক, ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সফল মেম্বার, প্যানাল চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।