নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার ১নং ওয়ার্ড পুলিশ লাইনের পেছনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যসায়ীদের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, পুলিশ লাইনের পেছনে বাদশাঘোনা এলাকার আশরাফ আলির ছেলে আমির হামজা, একই এলাকার গোরা মিয়ার ছেলে আশরাফ আলি,  মৃত ছৈয়দের মেয়ে রাবিয়া বছরি ও আশরাফ আলির মেয়ে রেনু আরা।
৯ জুন (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে পুলিশ লাইনের পেছনে বাদশাঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতারে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ভর্তি দেন।
হামলাকারী, সন্ত্রাসীরা হলেন, একই এলাকার সন্ত্রাসী রমিজ, শফি, কলিম উল্লাহর ছেলে শরিফ, রমিজের ছেলে জোনায়েদ, ইয়াসমিন ও রিনা।

আহত আমির হামজা বলেন, একটি সংস্থার উদ্যোগে ১নং ওয়ার্ড ঝিলংজা পুলিশ লাইনের পেছনে বাদশাঘোনা এলাকার মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক আশরাফ আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয় ওই এলাকার গরীব ও অসহায় ২০টি ঘরের মানুষের নাম দেওয়ার জন্য কিন্তু ওই এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসায়ী রমিজ এর পরিবারের নাম না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক আশরাফ আলী ও হিসাব রক্ষক আমির হোসেনকে প্রচুর মারধর করে এবং লাঞ্ছিত করে রমিজসহ উক্ত সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি সমাধান করে দেই। কিন্তু সমাধান উপেক্ষা করে ৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই অর্থ সম্পাদকের পরিবারের মহিলাদের মারধর করে থাকে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা মোবাইল ও স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেই।
পরে তাতে অর্থ সম্পাদক বাধা দিলে তাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা মারধর করে এবং তার ছেলে আমির হামজাকে লোহার রড এবং ছুরি দ্বারা মাথায় মারাত্নক জখম করে। এরপরেও ক্ষিপ্ত হননি ওই সন্ত্রাসীরা।
তারা বর্তমানে দা চুরি লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে এবং তার ছোট ছেলেকে মারার বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছে সন্ত্রাসীর শরীফ এবং সন্ত্রাসী শফি উক্ত ঘটনার মূল কারিগর। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি।