ওসমান আবির, টেকনাফ :
করেনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টেকনাফ পৌরসভার রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় প্রশাসনের কঠোর লকডাউনে জনশূন্য হয়ে পড়েছে পৌর শহর।লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীরা।

গত ৬ জুন শনিবার টেকনাফ পৌরসভার রেড জোন চিহ্নিত আংশিক এলাকা সমূহ ৭ জুন ১২টা থেকে আগামী ২১ জুন সোমবার রাত ১১.৫৯টা পর্যন্ত ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন।পৌরসভার মূল কেন্দ্র ও প্রবেশপথ সমূহ যথাক্রমে টেকনাফ পৌরসভার শিলবুনিয়া পাড়া (চকবাজার সংলগ্ন) ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়ার চৌরাস্তার মোড়, ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ বটগাছ তলা মোড় ও হাসপাতাল সংলগ্ন হেচ্ছারখাল ব্রীজ এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হয়।

গতকাল রবিবার লকডাউনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৌর এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলা ছিল।কিছু টমটম, অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা দেখা যায়।তবে আজ সোমবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীদের কঠোর তৎপরতায় সকাল থেকে পুরু পৌর শহর জনশূন্য হয়ে পড়ে।সকল প্রকার দোকনপাট বন্ধ রাখা হয়েছে।রাস্তা যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে।নেই কোন পথচারীদের জনসমাগম।এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।প্রশাসনের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানায় সর্বসাধারণ।

পৌরসভার রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কুহিনূর আক্তার বলেন,করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগী হয়ে জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীরা মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।পৌর এলাকায় ঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউনের কার্যকরী ভূমিকা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের সহযোগী হয়ে জনপ্রতিনিধিরা সবসময় মাঠে থাকবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, টেকনাফ পৌরসভায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা ১৪ দিনের লকডাউন সুফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের চেয়ে জনসাধারণের উদ্যোগ জরুরি।পৌরসভার রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় ১৪ দিনের লক ডাউন সুফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।