মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং পালংখালী ইউনিয়নের ১, ৪, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসাবে ঘোষনা করা হচ্ছে। এসব এলাকায় আগামী ৮ জুন সোমবার রাত ১২ টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য কঠোরভাবে লকডাউন (Lockdown) কার্যকর করা হবে। কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী এসব এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা হবে। উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উখিয়া উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে শনিবার ৬মে অনুষ্ঠিত সভায় ম্যাপিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান আরো জানান, ম্যাপিং করতে গিয়ে পালংখালী ইউনিয়নে রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত শরনার্থীরাও এসে যায়। তাই পালংখালী ইউনিয়নে ম্যাপিং টা একটু সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধনের পরই পালংখালী ইউনিয়নের রেড জোন হিসাবে ওয়ার্ড গুলো পূণঃ নির্ধারণ করা হবে।

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের উল্লেখিত অংশ আশংকাজনক হারে করোনা সংক্রামন হওয়ায় এসব এলাকা ও পরিবার গুলো করোনা ভাইরাস এর অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এসব এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার ৮জুন রাত ১২ টা হতে ২২ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এ ১৪ দিনের কঠোরতায় করোনার প্রাদুর্ভাব না কমলে প্রয়োজনানুসারে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে বলে ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান জানিয়েছেন।

‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লকডাউনকৃত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে প্রশাসনের প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই। দরকার হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জরুরি কাজের সাথে জড়িতরা ‘রেড জোন’ এ অনুমতি সাপেক্ষে অতি সীমিত আকারে চলাচল করতে পারবেন।

ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান জানিয়েছেন, লকডাউন বিষয়ে শীঘ্রই বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলায় উখিয়া উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণে ৩য় স্থানে রয়েছে। উখিয়া উপজেলায় গত ৪ জুন পর্যন্ত ১৩৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।