কক্সবাজারের কয়েকটি স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় ‘পিএমখালীতে সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা : ১০ হাজার স্থানীয় মানুষের চলাচলে বাধা’শিরো নামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে সংবাদের উল্লেখিত সব তথ্য মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। মূলত তোতকখালী এলাকার স্থানীয় মেম্বার তাজ মহল জোর পূর্বব ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার প্রথম শশুর বাড়িতে নিজের প্রভাব দেখানোর জন্য এই রাস্তা করার নামে ভয়ানক তান্ডব শুরু করেছে। আর উক্ত সংবাদে তুমুল বা জাহেদুল হকের নামে যা বলা হয়ে তা মিথ্যার বেসাতি ছাড়া আর কিছুই না।
সরেজমিনে উপজেলা প্রকৌশলী গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেটা না মেনে ঠিকাদারের গাড়ী জোরকরে ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার মাটি এবং গাছ কাটে মেম্বার সহ তার লোকজন। পরে বিষয়টি থানায় অভিযোগ করলে এসআই বেলাল আহামদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে জাহেদুল হক বলেন,উক্ত সংবাদে আমাদের পরিবারকে জড়িয়ে যা লেখা হয়েছে তা দুঃখ জনক কারন আমার পিতা একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক ছিল । আমার চাচারাও যে যার অবস্থান থেকে অত্যন্ত সুপরিচিত মানুষ ছিল এবং প্রত্যেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে আদর্শে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে প্রতিষ্টা করার জন্য কাজ করেছে। আর বর্তমানে আমার একভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,আরেক ভাই আইনজীবি, বোন ডাক্তার আমি এমবিএ পাশ করেছি বর্তমানে ব্যবসা করি।
এদিকে তোতকখালীএলাকার বেশ কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের জোর পূর্বক নিয়ে এসে মেম্বার ছবি তুলে প্রতিবাদ বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যাতে আমাদের সম্মতি ছিল না। এদিকে সংবাদে বাবুল ইসলাম বাহাদুরের নামে যা লেখা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে।
তিনি বলেন, আমাকে বা আমাদের পরিবারকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে যা লেখা হয়েছে সেটা সত্য নয় বরং এখন যারা আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে নিজেদের পকেটভারী করছে তাদের অত্যাচারে এলাকায় মানুষ থাকতে পারছেনা। আমি বাবুল ইসলাম বাহাদুর ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি,১৯৯৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্বপালন করি,২০০৩ সাল থেকে সদর উপজেল আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি যার সভাপতি ছিল মনির আলম চৌধুরী , সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী।এর পরে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আর তোতকখালীর যে রাস্তাটির কথা বলা হচ্ছে সেই রাস্তার নির্মাণের প্রথম ঠিকাদার ছিলাম আমি। মূলত বর্তমানে সরকারি নক্সা পরিবর্তন করে মেম্বারের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীণ জমি দখল করার চেস্টা করছে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে পুকুর জলাশয় ভরাট না করার জন্য বিশেষ আইন করেছে সেখানে কিভাবে উন্নয়নের নামে পুকুর ভরাট করা হয়।
মূলত আমার ভাইপোরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং এলাকায় কম থাকে সে জন্য রোষানলের কারনে তাদের জমি দখল করার চেস্টা করা হচ্ছে। জমিতে গিয়ে প্রকৌশলী নিজে বলেছে কাজ না করতে সেখানে মেম্বার জোর করে কাজ করার মানে কি বহনকরে ? যাই হউক আমরা উন্নয়নের বিরোধীতা করছি না। আগের নক্সা অনুযায়ী সরকারি উন্নয়ন হলে সেখানে আমরা পূর্ন সহায়তা করবো। একই সাথে উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান জাহেদুল হক ও বাবুল ইসলাম বাহাদুর সহ সংশ্লিষ্ঠরা।
প্রতিবাদকারী
জাহেদুল হক
ও
বাবুল ইসলাম বাহাদুর
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।