নীতিশ বড়ুয়া, রামু :
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস কক্সবাজারে দিনদিন অসহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যে হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে সে তোলনায় জেলায় আইসোলেশন সেন্টার কম। ইতোমধ্যে সরকার কক্সবাজার জেলার কয়েকটি উপজেলায় ডেডিকেটেড আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করলেও রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন। এ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রামুতে নির্মিতব্য বিকেএসপি ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার করা যায় কিনা তা সরেজমিন পরিদর্শন করেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
পরিদর্শনকালে এমপি কমল সাংবাদিকদের জানান, কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসে কক্সবাজারের আট শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে মাত্র তিনশ জনের মতো, বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে রামুতে নির্মিতব্য বিকেএসপি ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার করা যায় কিনা তা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এ ভবনগুলোকে আইসোলেশন হাসপাতাল করা হলে আরো তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে। তা ছাড়া ডাক্তার, নার্সরা একই কম্পাউন্ডে পৃথক ভবন ব্যবহার করতে পারবে। সু-বিশাল কম্পাউন্ড, জনদুরত্ব, বৈদ্যুতিক ও যোগাযোগ সুবিধা থাকায় রামুর বিকেএসপি অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার করার উপযোগী বলে মনে করছে স্থানীয় সচেতন মহল।
এসময় কক্সবাজার জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির হিমু, জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন প্রিন্স, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারন সম্পাদক তপন মল্লিক, রামু যুবলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আবছার কামাল সিকদার, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জসিমুল ইসলাম, এমপি কমলে একান্ত সহকারি মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, ছৈয়দুল হক, দীলিপ কুমার মহাজন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা এস এম সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেডিকেটেড আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ওই সময় এমপি কমল করোনাক্রান্ত রোগীদের শারিরীক অবস্থার খবরা-খবর নেন