সিবিএন ডেস্ক:
জর্জ ফ্লয়েড একটি প্রতিবাদের প্রতিক, জর্জ ফ্লয়েড পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গেল, জর্জ ফ্লয়েড আমেরিকার ৪০১ বছরের বর্ণ-বৈষম্য চির অবসানে ফৌজদারি আইনকে ঢেলে সাজানোর পথ সুগম করে গেল। এমন অভিমত পোষণ করা হয় জর্জ ফ্লয়েডের (৪৬) কফিন সামনে রেখে মিনিয়াপলিস নর্থ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে ৪ জুন বৃহস্পতিবার তার সম্মানে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি সমাবেশে।

ফ্লয়েড পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারি বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এ মেমরিয়াল সার্ভিসে স্বাগত বক্তব্যের সময় ফ্লয়েডের সম্মানে ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট স্কট হ্যাগেন ‘জর্জ ফ্লয়েড মেমরিয়্যাল স্কলারশিপ’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ইয়ং ব্ল্যাক আমেরিকান লিডারদের উচ্চ শিক্ষায় সহযোগিতা করবে এই স্কলারশিপ। এবং প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে এমন স্কলারশিপ চালুর আহবান জানান হ্যাগেন। তাহলে সকলের মধ্যেই বর্ণ-বিদ্বেষমূলক মনোভাব আর জাগ্রত থাকবে না। যেমনটি গত ১০ দিনের বিক্ষোভে প্রতিয়মান হয়েছে।

প্রতিটি স্থানেই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক-যুবতীর চেয়ে শ্বেতাঙ্গ, লাটিনো এবং এশিয়ানের উপস্থিতি বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। এভাবেই মানবতার জন্যে তরুণ সমাজে অভিন্ন একটি চেতনা ক্রমান্বয়ে জাগ্রত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন হ্যাগের। এ সময় উপস্থিতি সকলে বিপুল করতালিতে এই উদ্যোগে সমর্থন দেন এবং বিত্তশালীরা স্কলারশিপ ফান্ডে অর্থ প্রদানের অঙ্গিকারও করেন।
উল্লেখ্য, ফ্লয়েডের কফিন সামনে নিয়ে আরো দুটি স্মরণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি সমাবেশ হবে। একটি হবে শনিবার নর্থ ক্যারলিনার রেফোর্ডে অর্থাৎ জর্জের জন্মস্থানে। সেখানকার ক্যাপ ফিয়ার কনফারেন্স বি সদর দফতরে বেলা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। এরপর টেক্সাসের হিউস্টন সিটিতে হবে ৯ জুন মঙ্গলবার সর্বশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্মরণ-সমাবেশ।