শাহেদ মিজান, সিবিএন:
হৃদরোগে মারা গেলেন কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প চৌধুরী পাড়া এলাকার পরিচিত মুখ মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ জসিম বলী (৫৫)। বৃহস্পতিবার (৪জুন) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রামের সার্জিস্কোপ হাপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর ভাতিজা জাতীয় বডিবিল্ডার নাজমুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাজমুল ইসলাম জানান, তার চাচা জসিম উদ্দিন চৌধুরীর গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কক্সবাজারের অক্সিজেন না পেয়ে জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে ওইদিনই চট্টগ্রামের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছেও প্রায় পাঁচঘন্টা কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। সর্বশেষ রাত ১টার দিকে মোটা অংকের টাকা জমা করে তাঁকে সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তি করার আধা ঘন্টার মধ্যেই মারা যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি চট্টগ্রামে রয়েছি। চাচার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে আনার আগেই ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের হাসপাতালের খোঁজ নিতে শুরু করি। কিন্তু সিএসসিআর হসপিটালে আইসিইউ থাকলেও তারা ভর্তি করায়নি। ম্যাক্স হসপিটাল, পার্কভিউ হসপিটাল, ইবনে সিনা, পিপলস হসপিটাল সব ঘুরে দেখি কোথাও আইসিইউ নাই। শেষে বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালাম। কিন্তু ওখানে ভর্তি করতে করতে তারা আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যায়। এর মধ্যে চাচার অবস্থা আরো সংকটময় হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে খোঁজ নিয়ে সার্জিস্কোপে নিয়ে যাই। সেখানে এক লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে ভর্তি করাই। কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যেই চাচা মারা।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো আমার চাচা সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। আগে চিকিৎসা পেলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন।
জানা গেছে, জসিম চৌধুরী একজন সুঠাম দেহের অধিকারী মানুষ। যুবক বয়সে বলী খেলতেন এবং শরীর চর্চা করতেন। ৫৫ বয়সেই শারীরিকভাবে বেশ চাঙ্গা ছিলেন তিনি। তবে তিনি ডায়বেটিস ও হাঁপানি রোগী ছিলেন। এ কারণে তিনি প্রায় সময় শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। তার জন্য নিয়মিত তাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হতো।
করোনা নয়, তিনি ডায়বেটিস ও হাঁপানি কারনে শ্বাসকষ্ট ভোগে মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।