প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজার করোনা সহায়তা তহবিল এবার কক্সবাজারে করোনা প্লাজমা সংগ্রহের কাজ করবে। কক্সবাজারের করোনা জয় করা যোদ্ধাদের প্লাজমা প্রদানে উৎসাহী করতে জেলাবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজার করোনা সহায়তা তহবিল।

কক্সবাজার করোনা সহায়তা তহবিলের প্রধান উপদেষ্টা ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্লাজমা থেরাপিতে দেশে অনেক গুরুতর করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।
চিকীৎসকদের মতে ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়। ফলে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে ও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এই অ্যান্টিবডি রয়েছে, যা সংগ্রহ করে করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীরে দিলে আক্রান্ত রোগীর শরীনে সাময়িক প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডি করোরা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং রোগী সুস্থ হতে থাকে। সেই লক্ষে কক্সবাজার জেলার করোনা জয়ী যোদ্ধাদের প্লাজমা দিতে উৎসাহী করতে এবং করোনা আক্রান্তদের প্লাজমা সংগ্রহে সহায়তা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।

কক্সবাজারে করোনায় সহায়তা তহবিলের সমন্বয়ক ইমরুল কায়েস জানান। জেলায় এখন পর্যন্ত ২শ মানুষ করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন। এই ২শ মানুষের প্লাজমা দিয়ে আরো অনেক করোনা রোগীকে সুস্থ করা যাবে। করোনা জয়ী যোদ্ধারা প্লাজমা দান সম্পর্কে অবহিত করতে ও উৎসাহী করতেই কাজ করবে করোনা সজায়তা তহবিল।

করোনা সহায়তা তহবিলের আরেক সমস্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলার করোনায় সুস্থ হওয়া মানুষের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। জেলার ৮ টি উপজেলায় করোনা সহায়তা তহবিলের সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। সেচ্ছাসেবকরা সুস্থ করোনা রোগীর নাম, রক্তের গ্রুপ, বয়স, ওজন, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার তথ্য সংগ্রহ করছে। যেসব করোনা রোগীর রক্তের গ্রুপ করা নেই তাদের রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করবে করোনা সহায়তা তহবিল।