মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ১ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ এবং বাকী ১০টি ওয়ার্ডকে করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর হবেন কমিটির প্রধান। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে যুবক ও ছাত্রদের’কে নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ৪মে সকালে অনুষ্ঠিত ZOOM মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, সেনাবাহীনির সদস্যবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবেন।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, কক্সবাজার পৌরসভার যে ওয়ার্ড গুলোকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে সব এলাকা থেকে কোন লোক বাহির ও প্রবেশ করতে পারবেন না। এলাকা গুলো সম্পুর্ন অবরুদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে সেসব এলাকার গরীব, অসহায়, নিন্ম আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।

যে ওয়ার্ড ২টিকে ‘ইয়েলো জোন’ চিহ্নিত করা হয়েছে সে ২টি ওয়ার্ডের সবকিছু সীমিত আকারে চলবে, সবার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে এ ২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সভায় কক্সবাজার পৌরসভায় কোন ওয়ার্ডকে ‘গ্রীণ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি।

সভায় একইভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রামণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কক্সবাজার পুরো জেলাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলাকে ইউনিয়নভিত্তিক এবং ৪টি পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই বিভাজন করা হয়। বিভাজনে যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড করোনায় বেশী সংক্রামিত হয়েছে, সংক্রামণের আধিক্য রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে, সেগুলোকে “রেড জোন” বা লাল চিহ্নিত এলাকা, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মাঝারী পর্যায়ে সংক্রামিত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোকে ” ইয়েলো জোন” বা হলুদ চিহ্নিত এলাকা এবং যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে করোনা একেবারে সংক্রামিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে “গ্রীণ জোন” বা সবুজ চিহ্নিত এলাকা হিসাবে বিভক্ত করা হয়েছে। আর যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড ‘গ্রীণ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে সেখানে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মতো প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থাকবে।