আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) এ কর্মরত ডাক্তাররা জানান চিকিৎসারত অবস্থায় ফ্লু কর্ণারে শ্বাস কষ্ট ও করোনা সংক্রমণ উপসর্গে আইনজীবী ও ব্যবসায়ীসহ গত ২৪ ঘন্টায় চমেকে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার( ৩ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারেই এই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চমেক সূত্রে জানা যায, ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে। এদের মধ্যে জ্বর ও প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট নিয়ে মৃত্যু হয় মাহবুবুল হক (৬২) নামে এক আইনজীবীর। তিনি সাতকানিয়া আদালতে সিনিয়র আইনজীবি বলে জানা গেছে।বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মৃত্যু হয়।

একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম আদালতের শিক্ষানবিশ আরেক আইনজীবীর। মারুফ চৌধুরী নামে ওই আইনজীবীও জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ দুজন ছাড়াও হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ইয়োলে জোনে বা ফ্লু কর্ণারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও আট জনের। যাদের মধ্যে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার ৮৩ বছর বয়সী বেলায়েতের নেসা নামে এক বৃদ্ধা রয়েছেন। রয়েছেন বাকলিয়া থানাধীন বউ বাজার এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে আরাফাত হোসেন (২১), পাহাড়তলী থানাধীন চৌধুরীপাড়ার আবুল হোসেন (৭৫), রাহাত্তারপুল এলাকার মারুফ চৌধুরী (৩৩), চন্দনাইশের দোহাজারীর বদিউল আলম (৪৫), নগরীর বাকলিয়া এলাকার সুপ্রিয় দত্ত (৬০), চান্দগাঁও বাদামতলার আলতাফ হোসেন চৌধুরী (৩৪), মিরসরাইয়ের কানন বালা দেবি (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ৬০ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। যাদের মধ্যে বেশি অংশই করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। ১১জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এরকম স্পেসিফিক কতজন উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন বলতে পারবো না। তবে দিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে দশ থেকে পনের জন মারা যাচ্ছে। আবার সবার করোনা পজেটিভ হচ্ছে তাও না।