এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, বাড়ির বাইরে গেলে দেশের প্রতিটি নাগরিককে মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। একইভাবে লকডাউন শিথিল করার সময় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিপনী বিতান কিংবা দোকানে পন্য বেচাকেনাকালে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবে এসবের বিপরীত ঘটলে অর্থাৎ প্রজ্ঞাপনের আলোকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জরিমানা এবং ক্ষেত্র-বিশেষে জেল ভোগ করতে হবে।

এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশনার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনপদে সর্বসাধারণ এবং বিপনী বিতান গুলোতে তা মানছে কী না দেখতে বুধবার ৩ জুন কয়েকটি এলাকা সরেজমিনে পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এদিন সকাল এগারটা থেকে বিকাল তিনটা নাগাদ চারঘন্টা সময়ে উপজেলার একাধিক এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন। এসময় আদালত মুখে মাস্ক না থাকাবস্থায় বাহিরে ঘুরাফেরা কালে একাধিক ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেশ কটি বিপণি বিতান খোলা রাখার অপরাধে ১৯টি মামলায় ৫৫ হাজার সাতশত টাকা জরিমানা করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে উপজেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানের অংশহিসেবে বুধবারও আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত ও আড্ডা ছত্রভঙ্গ করা হয়।

তিনি বলেন, অভিযানের সময় চকরিয়া শহরের ফুটপাত উচ্ছেদ করার পাশাপাশি, মুখে মাস্ক না থাকাবস্থায় বাহিরে ঘুরাফেরা কালে একাধিক ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বিপণি বিতান খোলা রাখার অপরাধে ১৯টি মামলায় ৫৭,৭০০ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি সবাইকে বাড়িতে থাকতে এবং অপ্রয়োনীভাবে বাহিরে ঘুরাফেরা না করতে পরামর্শ দেন।

অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্য, থানা পুলিশের একটিদল ও উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান এরশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।