ফেসবুক কর্ণার:
প্রিয় কক্সবাজারে লাশের মিছিলে আমিও কি আছি!
লকডাউনের পর থেকে কক্সবাজারবাসী রুটিন মত চলাফেরা করছিলো,ঈদের আগে কয়েকদিন শপিং মল খোলা হলো,বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসা শুরু করলো।
করোনা টেষ্টের জন্য ও অনেকে আসতেছেন,কেউ জানেন না কার শরীরে করোনা!
যারা টেষ্টের জন্য আসতেছে তারা নিজেরা ও জানেন না।
তারা গাড়ী করে বিভিন্ন জায়গা অতিক্রম করে হাসপাতালে আসা যাওয়া করছে।
১০/১৫ দিন পর জানা যাচ্ছে করোনা পজিটিভ।
এ ১০/১৫ দিনে নিজেরা ইচ্ছে মত টু টু ঘোরাফেরা করেছে, পরিবারের সাথে মিশেছে, আলাদা থাকেনি।

আলাদা থাকার জায়গা অনেকের নেই, অনেকের পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৬/৮ জন,রুম দুইটা।
বাচ্চাদের আলাদা করা অসম্ভব একই বাসায়।

বাসায় হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে গিয়ে অনেকে ছড়িয়ে দিচ্ছে পরিবারের অন্যদের।
ঈদের পরে অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খোলার সাথে সাথে বেড়ে গেছে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা।
অক্সিজেনের অভাবে গত কাল ও একমামা ও খালার জামাই মারা গেলেন।
যার চলে গেছে সে বুঝে হারানোর ব্যাথা কত গহীন।
আজ কয়েকদিন থেকে ডাঃ,নার্স ও সাংবাদিকদের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছেন।

পৌরমেয়র মহোদয় সহ সহকর্মীরা আক্রান্ত।
সিনিয়র সাংবাদিকরা আক্রান্ত।
হে আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা দান করুন।

কতজনই বা পরীক্ষা করাচ্ছেন?
কার ভিতরে বসত করে করোনা কেউ জানেনা।
দূরত্ব বজায় রাখুন,
মাক্স ব্যবহার করুন।

আমি মনে করছি লাল,হলুদ,সাদা যেভাবেই ভাগ করুন,তাড়াতাড়ি করুন আল্লাহর ওয়াস্তে।
মৃত্যু আমাদের দুয়ারে,আমাদের নাকের কাছে লকলক করছে করোনা কিট।
আমাদের বাঁচান।
এ মৃত্যুর মিছিলে আমি ও কি আছি,ভয়ে কাঁপি থরথর😭
চারিদিকে প্রিয়জনের আহাজারি।

হে আল্লাহ আমাদের সব পাপ মুছে দিয়ে আমাদের দিকে রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন দয়াময়।

 

MH Mitu এর ফেসবুক থেকে।