রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ ও সভাপতি কর্তৃক ইমামকে মারধরের সংবাদ বিভিন্ন অনলাইনে নিউজ পোর্টালে গত ২৬ মে মঙ্গলবার প্রকাশিত “দক্ষিন মিঠাছড়িতে মসজিদ কমিটির সভাপতি কর্তৃক ইমামকে মারধরের অভিযোগ, এলাকায় উত্তেজনা” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দক্ষিণ মিঠাছড়ি পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এলাকাবাসীর বক্তব্য :

পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ২৬ মে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে প্রবেশ করে কমিটি কর্তৃক বহিস্কৃত ইমামকে জোর পূর্বক মাগরিবের নামাজে ইমামতি করার জন্য স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রকৃতির যুবক একত্রিত হয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর মতামতকে উপেক্ষা করে, ইমামতি করার জন্য বাধ্য করে।

মসজিদের মুসল্লিদের দাবী, শরীয়ত ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মসজিদ কমিটি ইমামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন ২৫ মে সোমবার। অব্যাহতি দেয়া ইমামকে ২৬ মে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজে ইমামতি করার জন্য নিয়ে আসেন স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু যুবক। ওই সময় মসজিদের মুসল্লি ও কমিটি বাঁধা প্রদান করলে তাদের সাথে বাকবিন্ড করে হাতাহাতিকে জড়িয়ে পড়ে মসজিদের ভিতর। ওই দিন মাগরিবের পর পশ্চিম উমখালী ষ্টেশনে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল স্থানীয় জামায়াত ইসলামী নেতাদের ইন্দেনে তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সহায়তায় প্রতিবাদ সভার নামে হাজারো স্থানীয় ও বহিরাগত যুবক জড়ো করে মসজিদের মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে। পরে পরিকল্পিত ভাবে গোপনে পবিত্র মসজিদের ভিতর ধারণ করা ভিডিও কাঠসাট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেয়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির মতামত ও ব্যাখ্যা :

১.মসজিদের সেক্রেটারী/ক্যাশিয়ার জনাব নুর আহমদ ইমাম সাহেবের দৃষ্টিতে মোনাফেক। ২. মসজিদ/হেফজখানা/নুরানী মাদ্রাসা ও ফোরকানিয়াসহ সমস্থ কাজ পরিচালনা করা ইমাম সাহেব এর দৃষ্টিতে শরিয়ত বিরোধী। ৩. সরাসরি আল্লাহর সাথে ইমাম সাহেবের সম্পর্ক আছে তাই তার কথা না শুনিলে এলাকায় বালা মুচিবত আসিবে।

পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উল্লেখিত বিষয়ে গত ২৫মে সোমবার মসজিদ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী ও কমিটির সকল সদস্য মনে করেন যে, ইমাম সাহেব উনার ইমামতির যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসী এবং কমিটির সদস্যদের ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসেন যে, ইমাম সাহেবকে তাহার ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান পূর্বক বিদায় করিয়া দিতে আর কোন রকম বাধা নাই ও রহিল না এবং সর্বসম্মতি ক্রমে মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখিত বিষয়ে ৩ (তিন) জন অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ গ্রহন করেন। তারা হলেন যথাক্রমে হাফেজ মাওলানা মুফতি ফারুক, মাওলানা কবির আহমদ ও মাওলানা শফি সাহেব এবং তারা আলোচনা সভায় ও উপস্থিত ছিলেন। ওই আলোচনা সভায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬ (ষোল) জন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং রেজুলেশন খাতায় উপস্থিত সদস্যরা স্বাক্ষর করেন।

বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে রামু দক্ষিন মিঠাছড়ি পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হলে সংশ্লিষ্ট আইনের আশ্রয় গ্রহন করা হবে এবং যাচাই বাচাই করে মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলদের মতামত নিয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন দক্ষিণ মিঠাছড়ির পশ্চিম উমখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।