সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বৃহত্তর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্দোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৩৯তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

সোমবার (১ জুন) দুপুরে ইউনিয়নের হরইখোলা জামে মসজিদে স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্যানিটাইজ্শন করে খতমে কোরআনের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি খুটাখালী ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক এম জাফর আহমদ।

সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মহিদুল ইসলাম।

সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক কাজী জাহেদ নেওয়াজ, সদস্য ছাদেকুর রহমান, সদস্য সাবেক মেম্বার মাশুকুর রহমান, সদস্য শাহাব উদ্দীন কোম্পানী, সাবেক মেম্বার আকতার আহমদ, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভপতি সুলতান আরেফিন,কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রিফাত খান, সাবেক ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক আরফাত কামাল জিকু, যুগ্ন আহবায়ক শীষ মুহাম্মদ রাশেল, শাহজান বাবু্ল, কেএম জুলকার নাইন, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদল সভাপতি ফখরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক শাহাব উদ্দীন,সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি ইব্রাহিম শিকদার, সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,সহ-সভাপতি সোহেল রানা,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামশেদ আলম আশিক,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, শ্রমিকদল সভাপতি জামাল উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রমুখ।

এসময় ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল ও শ্রমিকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি এম জাফর আহমদ বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন।

১৯৮১ সালের ৩০মে’র এই কালো রাতে চট্টগ্রামের অভিশপ্ত পুরোনো সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-এর কালজয়ী দর্শন ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি সফল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক।

তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন না।

জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন।
বর্তমান সরকার তাঁর নাম সকল স্থাপনা থেকে মুছে ফেলেছে। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
তাঁর নাম মুছে ফেলা যাবে না ।

সভাপতির সমাপনি বক্তব্যে মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাণপ্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মরণ করেছে দেশের কোটি কোটি মানুষ। বাংলাদেশ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক সংগে গাঁথা।

তিনি একজন সৈনিক থেকে ক্রান্তিকালে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ, যুদ্ধ শেষে সেনাবাহিনীতে ফিরে যাওয়া, ক্রান্তিকালে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ, সর্বোপরি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ও ঈর্ষণীয়।

দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন খুটাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি সোহেল রানা ছিদ্দিকী।
অনুষ্টান শেষে উপস্থিত সকলে মেজবানে অংশ নেন।