মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া সরকারি পাহাড়ে সৃজিত সামাজিক বনায়নের প্রায় অর্ধশত মাট্রার ট্রি (গর্জন) কেটে ফেলেছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র। রোববার (৩১ মে) মিজ্জির পাড়ার মৃত লস্কর আলীর পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী জয়নাল আবেদীন ওরফে হাতকাটা জয়নাল ও তার ভাই মোস্তাক আহামদের নেতৃত্বে এসব গাছ কাটা হয়েছে। এই সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর অভিযোগ পেয়ে বনবিভাগের লোকজন পুলিশ ১১টি গাছ জব্দ করেছে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়ার পূর্বদিকের পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের অওতায় ২০০৭ সালে পাহাড়ের বিশাল স্থানজুড়ে সৃজন করা হয় মাদার ট্রি (গর্জন)। গাছগুলো ইতিমধ্যে বিশালাকারে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে গাছগুলোর উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে মিজ্জির পাড়ার মৃত লস্কর আলীর পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী জয়নাল আবেদীন ওরফে হাতকাটা জয়নাল ও তার ভাই মোস্তাক আহামদসহ সন্ত্রাসী চক্রের।

এর অংশ হিসেবে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রকাশ্যে কেটে ফেলে অর্ধশত গাছ। এর মধ্যে অধিকাংশ গাছ পাচার করে দিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা। পরে খবর পেয়ে রোববার (৩১ মে) রাতে সন্ত্রাসী জয়নাল আবেদীন প্রকাশ হাত কাটা জয়নালের বাড়ি থেকে ১১টি গাছ জব্দ করে বনবিভাগের লোকজন ও পুলিশ।

অন্যদিকে বনবিভাগের লোকজনেক খবর দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী আলহাজ্ব ছৈয়দ আহমদের দুই পুত্র ইরফান ও নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্র আতাউর রহমান মিশুকের উপর হামলা করেছে হাতকাটা জয়নাল ও তার লোকজন। এতে তারা দুইজন আহত হয়েছেন।

উপকারভোগী আলহাজ¦ ছৈয়দ আহমদ জানান, তারা অনেক কষ্ট এবং অর্থ খরচ করে সামাজিক বনায়নটা করেছিলের। বর্তমানে গাছগুলো বিশালাকার হয়েছে। একটি গাছের কম হলেও ৫০ হাজার টাকা হবে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা জোর করে আমাদের এই অতিকষ্টে লালিত বনায়নের অর্ধশত গাছ কেটে ফেলেছে। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

জানতে চাইলে বনবিভাগের মহেশখালী উপজেলা রেঞ্জার এই প্রতিবেদকে বলেন, বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলার খবর পেয়েছি। কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছে। এখন ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বনবিভাগের লোকজন রয়েছেন। তারা পুরো ঘটনা জেনে আসলে গাছ কর্তন করে লুটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।