রিয়াজ উদ্দিন , পেকুয়া :

পেকুয়ায় হাদিছা বেগম (২২) নামক এক গৃহবধূর খোঁজ নেই দু’সপ্তাহ ধরে। ওই গৃহবধূর সন্ধান পেতে স্বামী পেকুয়া থানায় সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করতে লিখিত আবেদন করেছেন। নিখোঁজ মহিলা উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা ৯ নং ওয়ার্ডের আবদুল গফুরের স্ত্রী। এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামী আবদুল গফুর টইটং ইউনিয়ন পরিষদ ও পেকুয়া থানায় লিখিত পৃথক আবেদন প্রেরন করেছেন। প্রাপ্ত সুত্র জানায়, গত ১৯ মে রাত ১১ টার দিকে হাদিছা বেগমের স্বামী আবদুল গফুর বাড়ি থেকে বের হন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন এলাকায় প্রচার চালাতে গফুর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। গভীর রাতে বাড়িতে পৌছেন। এ সময় দেখতে পান স্ত্রী হাদিছা বেগম বাড়িতে নেই। তাকে খোঁজাখোঁজি করছিলেন। সাধারন ডায়েরী রুজুর আবেদনে আবদুল গফুর জানান, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে উধাও হয়েছে। নগদ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে সটকে পড়ে। ১ দিন পর পিতার বাড়িতে তাকে দেখতে পেয়েছি। এরপর আত্মগোপনে চলে গেছে। গফুর জানান, ২০১৮ সালে হাদিছাকে বিবাহ করে। হাদিছা পূর্ব টইটং লেইনেরশিরা গ্রামের মোহাম্মদ কাইছার উদ্দিনের মেয়ে। বিয়ের পর কিছুদিন সুখে ছিলেন। তবে হাদিছা প্রায় সময় স্বামীর অবাধ্য থাকতেন। কলহ ও ঝগড়াটে চরিত্রের মেয়ে হাদিছা। দু’জনের সংসারে ৬ মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গফুর জানান, আমার সন্তানের জীবনও প্রায় বিপন্নের মধ্যে চলে যাচ্ছে। আমার জেঠাত ভাই ফিরোজ আহমদকে তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। সে জবাব দিয়েছে অন্য পূরুষের সঙ্গে নতুন সংসার ফাঁতাবেন। আমাকে নিয়ে নাকি আর সংসার করবেনা। তবে এ বিষয়ে জানতে হাদিছাকে সন্ধান করা হয়েছে। তার খোঁজ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন জানান, আবদুল গফুর তার স্ত্রীর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পরিষদে দিয়েছেন। আমরা পরামর্শ দিয়েছি থানায় জিডি করতে।