সিবিএনঃ
আইসোলেশনে থাকার একদিন পরে প্রকাশ পেল কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের করোনা ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট।

অথচ মেডিকেলের ল্যাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশের আগেই সস্ত্রীক আইসোলেশনে চলে যান তিনি।

গণমাধ্যমগুলো সংবাদও প্রকাশ করেছে।

সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে একদিন পর রবিবার (৩১ মে)।

মেয়র মুজিব, তাঁর সহধর্মিনী ফারজানা রহমান আর জেঠাতো ভাই-ভাবীসহ ৫ জন করোনার নমুনা জমা দেখেছিলেন ২৮ মে রাতে। সেই নমুনার টেষ্ট হয় ৩০ মে। যথারীতি ওইদিন সন্ধ্যায় অন্য সবার সাথে মেয়র বধূ ও অন্য নিকটাত্মীয়দের টেষ্ট রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু মেয়র মুজিবুর রহমানের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

যদিও মেয়র মুজিবুর রহমানের করোনা আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ে শনিবার রাতেই।

রোববার (৩১ মে) কক্সবাজার সদর উপজেলার নতুন করে ৩৫ জনের করোনা পজিটিভের মধ্যে তিনিও একজন। গত ২৮ মে একই সাথে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ৪ জনের নমুনা নেয়া হলেও মেয়রের স্ত্রী ফারজানা রহমান, আপন জেঠাতো ভাই আজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভের রিপোর্ট অফিসিয়াল প্রকাশ পায় শনিবার (৩০ মে)।

ওইদিন সদর উপজেলার ২১ জনের পজিটিভের তালিকাই ছিলেন না কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নাম।

এদিকে শনিবারই কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ও করোনাভাইরাস টেষ্টের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. রূপেশ পাল মুঠোফোনে মেয়র মুজিবুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

যদিও তিনি শনিবার করোনা শনাক্তের আগেই কক্সবাজার শহরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এম্বুল্যান্সে করে ঢাকায় চলে যান। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পৌঁছেন। ইতিমধ্যে মেয়র মুজিুবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। সেখানে কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে।

মেয়র মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মিডিয়া সহকারি সাংবাদিক আহসান সুমন জানিয়েছিলেন, মেয়র করোনা আক্রান্তের খবরের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎপরতায় সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মেয়র মুজিবের সুচিকিৎসার বিষয় নিয়ে নজরদারী করছেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন।

মেয়র মুজিবুর রহমান কক্সবাজার শহরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তবে তা করোনার চিকিৎসার জন্য নয়। তিনি গত দুইদিন আগে হোঁচট খেয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। ডাক্তার তাঁকে সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বেডরেষ্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওই কারণে তিনি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি জানতে পারেন। ওই রাতেই তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।