শাহেদ মিজান, সিবিএন:

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পজেটিভ খবর পাওয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রী মেয়রের খোঁজ নিচ্ছেন।

উপসর্গ না থাকায় মেয়র নিজেই বাসা থেকে চিকিৎসা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া মেয়র ও তার স্ত্রীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। মেয়রের প্রেস সেক্রেটারি আহসান সুমন এই তথ্য জানিয়েছেন।

আহসান সুমন আরো জানান, উপসর্গ না থাকায় মেয়র নিজেই বাসা থেকে চিকিৎসা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্ত্রীসহ তাঁকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া মেয়র ও তাঁর স্ত্রীর ভর্তি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার থেকে তাদের বহন করা একটি এম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তারা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যান। হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারেই তাদেরকে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীসহ দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়। তারা মুজিবুর রহমানের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে এবং ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন বলে

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া মেয়র আমাকে জানিয়েছেন।
এদিকে মেয়র মুজিবের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, সিভিল সার্জন মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং দলীয় নেতাকর্মীসহ শুভাকাঙ্খীরা।

উল্লেখ্য, করোনাকালে ত্রাণ বিতরণসহ  জনগণকে নানা সেবা দিতে গিয়েই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মেয়র। সুস্থ হয়ে আবারো তিনি জনগণের কাছে আসতে পারার জন্য কক্সবাজার পৌরবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই সাথে স্ত্রীর জন্যও দোয়া করেছেন।