শাহেদ মিজান, সিবিএন:
করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী। শনিবার (৩০ মে) মেয়র ও স্ত্রীর পজেটিভ ধরা পড়ে। ২৮ মে তারা নমুনা দিয়েছিলেন। তবে তাদের কোনো উপসর্গ নেই। শারীরিকভাবে দু’জনই সুস্থ আছেন। মেয়রের প্রেস সেক্রেটারি আহসান সুমন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের পর থেকে ত্রাণসহ নানা মানবিক সহায়তা নিয়ে মাঠে ছিলেন মেয়র মুজিবুর রহমান। তাই সন্দেহ হলে তিনি ও তার স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনার রিপোর্ট দু’জনেরই পজেটিভ এসেছে। তবে মেয়রের তেমন কোনো উপসর্গ নেই। একইভাবে তার স্ত্রীরও কোনো উপসর্গ নেই। তারা বাসায় থেকে করোনা গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা নেবেন।

আহসান সুমন আরো জানান, মেয়র মুজিবুর রহমান স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে শহরের নতুন বাহারছড়ায় বাস করেন। সন্দেহ হওয়ায় ২৮ মে রাতে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বাসায় গিয়ে মেয়র ও স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। আজ ৩০ মে নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়। মা-বাবা আক্রান্ত হওয়ায় তিন সন্তানেরও নমুনা পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে ২৮ মে মারা যাওয়া তার ভগ্নিপতি নুরুল ইসলামের দাফন কাজে অংশ নিতে গিয়ে পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। এই জন্য একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন মেয়র। চিকিৎসক ওনাকে বিশ্রামে থাকতে বলায় সেদিন থেকে বাসা থেকে বের হননি।

২৩ মে এক সাথে ত্রাণ বিতরণ করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর সেতুসহ অন্যান্যরা।

জানা গেছে, গত ২৮ মে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে কক্সবাজার পৌরসভার ১০ ও ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দীন সেতু ও মিজানুর রহমানের। এর মধ্যে সেতু নমুনা পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৩ মে। ওই দিনই কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে মেয়র এবং কাউন্সিলর সেতু একসাথে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ত্রাণ বিতরণ করত গিয়ে মেয়র মুজিবুর রহমান এবং সেতুর সাথে এবং ত্রাণের প্যাকেট একসাথে দুইজনের হাতে ধরা। সেখানে আরো ছিলেন ১১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীন কবির ও  ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশসহ আরো কয়েকজন।

মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, করোনায় ভীত হইনি। আমি মনোবল হারাইনি। মানুষের দোয়া আমার সাথে আছে। সুস্থ হয়ে আমি আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসবো।

জনগণকে সেবা দিতে গিয়েই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে আবারো তিনি জনগণের কাছে আসতে পারার জন্য কক্সবাজার পৌরবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই সাথে স্ত্রীর জন্যও দোয়া করেছেন।