বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি ইউনিয়ন খুরুশকুলে মাদক সেবনে বাধায় দেয়ায় পাড়ার সর্দারসহ তিনভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় তিন সহোদর গুরতর আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।

আহতরা হলেন, খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ রাস্তার পাড়ার হাজী আকবর আহমদের ছেলে ফিরোজ আহমদ, রমিজ আহমদ ও মোবারক আহমদ। ঘটনাটি গত ২৪ মে ঘটলেও বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আহতদের ছোট ভাই মফিজ আহমদ বাদি হয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন এলাকাতে প্রকাশ্যে মদ্যপান করে আসছিলেন ওই এলাকার এনামুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসাইন। তার মদ্যপানের বিষয়ে বাধা দেন ওই এলাকার সমাজ কমিটির সর্দার ও বায়তুর সালাম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমদ। এতেই ফিরোজ আহমদের পরিবারের সাথে বিরোধ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গত ২৪ মে অর্থাৎ ঈদের আগের দিন এলাকার বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে ফিরোজ আহমদের পরিবারের উপর। ওই সময় ধারালো কিরিচ, রাম দা, ছুরির আঘাতে মারাত্বক আহত হয় ফিরোজ আহমদ, রমিজ আহমদ ও মোবারক আহমদকে। ওই সন্ত্রাসীদের উপর্যুপুরী আঘাতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নড়ছে মোবারক আহমদ।

তাদের ছোট ভাই মফিজ আহমদ বলেন, ‘এলাকাতে মাদক সেবন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়াতে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো হামলাকারীরা। তাদের প্রত্যেককে চিনতে পেরেছেন আমার বড় ভাইয়েরা। আমার বড় ভাই মোবারক দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবি সহকারী হিসিবে কর্মরত আছেন। ভদ্র হিসেবে সবখানে তার সুনাম আছে তার। অথচ সন্ত্রাসীরা যেভাবে আঘাত করেছে তা বলার মতো নয়।

তিনি জানান, হামলাকারীরা এক পর্যায়ে তার ভাইদের শারীরিক আঘাত করার পর বাড়িতেও ভাংচুর চালিয়েছে। ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে ওই সসময় সামসং মোবাইল সেট, নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৯ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় ২৫ মে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-৬৬। ওই মামলা আসামীরা হলেন- আলাউদ্দিন ফোরকানের ছেলে-দেলোয়ার হোসাইন (৩২), আকতার হোসাইন (৩০), কামাল হোসাইন (৩৬), জামাল হোসাইন (৩৮), মোহাম্মদ হোসাইন (২৮), আলী হোসাইনের ছেলে আনছুর আলী (৩৭), এনামুল হকের ছেলে-আনোয়ার হোসাইন (৩০), রায়হান উদ্দিন (২৬) ও আলী হোসেনের ছেলে- তাজ উদ্দিন বাসু (৩২)। তারা সবাই দক্ষিণ রাস্তার পাড়ার বাসিন্দা।

সূত্র জানায়, প্রায় তিন মাস আগেও আনোয়ার হোসাইন মাদক সেবনের বিষয় নিয়ে খুরুশকুলের চেয়ারম্যান পর্যন্ত বিচার গড়িয়েছিলো। ওই সময় আনোয়ার হোসাইন আর কোন দিন করবে না বলে মুচলেখা দিয়ে চলে আসে।